Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কিমকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে আমেরিকা : উ. কোরিয়া

kim
ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআইএ’ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নেতা কিম জং-উনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া।
দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তামন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সিআইএ সমর্থিত একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (আইএস) জৈব-রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে হত্যার ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছে।”

এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে চররা দেশটিতে ঢুকেছিল বলেও দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ওই সন্ত্রাসীদেরকে খুঁজে বের করবে এবং নির্মমভাবে তাদের নির্মূল করবে।

chardike-ad

কোরিয়া উপদ্বীপে টান টান উত্তেজনার মধ্যে উত্তর কোরিয়া এ অভিযোগ করল। উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা অগ্রাহ্য করে ষষ্ঠ পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা কিংবা অন্য আরেকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে এমন উদ্বেগের মধ্যে কয়েকসপ্তাহ ধরে কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, তাদের বৈরি কর্মকান্ড এ অঞ্চলকে পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ’র প্রকাশিত নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের অন্তিম ‘সাম্রাজ্যবাদী’ প্রচেষ্টা এবং দক্ষিণ কোরিয়া সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কিম জং-উনকে হত্যায় কেবল জৈব রাসায়নিক পদার্থই নয়, তেজস্ক্রিয় পদার্থ এবং অতিক্ষুদ্র বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহারেরও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “সিআইএ’র সঙ্গে যোগসাজশে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার চররা জৈব-রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে গোপন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পরিকল্পনা নিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকেছিল। তাদেরকে সম্প্রতি চিহ্নিত করা হয়েছে।”

“রাজধানী পিয়ংইয়ং- এ কোনও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বা সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার সময় কিম জং-উনকে হত্যার চক্রান্ত ছিল তাদের। ওই ধরনের অস্ত্র প্রয়োগের ছয় মাস বা ১২ মাস পরেও তা কাজ করতে পারে।”

এ হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা রাশিয়ায় কাজ করা ‘কিম’ নামের এক উত্তর কোরীয় নাগরিককে ঘুষ দিয়ে ভাড়া করেছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে। এ চক্রান্তকে উত্তর কোরিয়া ‘যুদ্ধ ঘোষণার নামান্তর’ বলে অভিহিত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় এ জঘন্য চক্রান্ত ধরা পড়েছে এবং তা বানচাল করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধ কেবল উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধেই সন্ত্রাস নয় বরং ন্যায়বিচার এবং মানবতার বিরুদ্ধেও অপরাধ।”

তবে কিভাবে এ ষড়যন্ত্র বানচাল করা হল এবং ওই গুপ্তচরদের ভাগ্যেই বা কি ঘটেছে তা বিস্তারিত জানায়নি উত্তর কোরিয়া।

ওদিকে, সিউলের মার্কিন দূতাবাস এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাও উত্তর কোরিয়ার অভিযোগের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।