Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ‘বিশালাকৃতির’ পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম: উ. কোরিয়া

north-koreaউত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তাদের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ছিল নতুন ধরনের একটি রকেটের সফল পরীক্ষা। এই রকেট একটি ‘শক্তিশালী ও বিশালাকৃতির পরমাণু ওয়ারহেড’ বহনে সক্ষম বলেও দাবি করেছে পিয়ংইয়ং।

আমেরিকার সঙ্গে তীব্র উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই রোববার সকালে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এটি প্রায় ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আধা ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে জাপান সাগরে পতিত হয়।

chardike-ad

জাপান সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে গিয়েছিল বলে আনুভূমিক দিক দিয়ে এটি ৭০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। কিন্তু এটিকে দূরের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করা হলে ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারত।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিয়ে ব্যাপক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ প্রকাশিত হওয়ার পর আজ (সোমবার) আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কথা বলেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, রোববার তারা তাদের নতুন ধরনের ‘মধ্য/দূরপাল্লার কৌশলগত ব্যালিস্টিক রকেট, হোয়াসং-১২’র পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ব্যক্তিগতভাবে রকেটটির নিক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে।

কেসিএনএ আরো বলেছে, রকেটটির ‘প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি এবং বৈশিষ্ট্যাবলী’ পরীক্ষা করার জন্য রোববার এটিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে। রকেটটি একটি শক্তিশালী ও বিশালাকৃতির পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এটি আরো বলেছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রকেটটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ২,১১৫.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠার পর ৭৮৭ কিলোমিটার দূরের নির্ধারিত লক্ষ্যে পতিত হয়েছে।

উত্তর কোরিয়া বলে আসছে, মার্কিন আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেশটির পরমাণু অস্ত্র প্রয়োজন। গত কয়েক বছরে পাঁচটি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষাও চালিয়েছে দেশটি। এ ছাড়া, পিয়ংইয়ং ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পরমাণু অস্ত্রের আঘাত হানার সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে বলে অনেকে মনে করছেন। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে ‘তা করতে দেয়া হবে না।’