Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইরান নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

trumpরাষ্ট্রীয় সফরে ইসরায়েলে নেমেই ইরান নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘ইরানকে কখনোই পরমাণু অস্ত্রধর রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না।’ সোমবার ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট রুভেন রিভলিনের সঙ্গে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ কথা বলেন ট্রাম্প।

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে সৌদি আরব থেকে সোমবার ইসরায়েলে আসেন ট্রাম্প। সৌদি আরবে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের এক শীর্ষ সম্মেলন ইসলাম ও ইসলামি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য দেন তিনি। এ ছাড়া তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) সদস্য দেশের নেতাদের সঙ্গেও পৃথক শীর্ষ সম্মেলন করেন।

chardike-ad

সোমবার ইরানবিরোধী সতর্কতার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল সফর শুরু করলেও ইসরালি ও ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে চুক্তির ধরন সম্পর্কে কোনো দিক নির্দেশনা দেননি। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে সরাসরি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চুক্তির বিষয়টি নিষ্পত্তির কথা বলেছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় দুই দিন ইসরায়েলে থাকবেন ট্রাম্প ও তার সফরসঙ্গীরা। এ দিন বিমানবন্দরে ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী।

প্রেসিডেন্ট রিভলিনের বাসভবনে ট্রাম্প বলেন, ইরানকে অবশ্যই সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও রসদ জোগান দেওয়া থামাতে হবে।

ইরানের দাবি, তারা পরমাণু অস্ত্র চায় না। কিন্তু ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, গোপনে পারমাণবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা। ইসরায়েল মনে করে, তাদের জন্য ধ্বংসাত্মক হুমকি ইরান।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা শুধু দীর্ঘ সময়ের বন্ধুই নই, আমরা পরস্পরের মহৎ মিত্র ও অংশীদার।’

শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের শিশুরা নিরাপদে বেড়ে ওঠার অধিকার রাখে। যে সহিংসতা অনেক জীবন শেষ করছে, তা ছাড়াই তাদের মুক্তভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ নিশ্চিত করতে।

তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন