Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রেমিট্যান্সে সুখবর

remittanceরেমিট্যান্সে সুখবর এসেছে। সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে আগের মাসের তুলনায় বেশি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৬৭.৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; এপ্রিলে যা ছিল ১ হাজার ৯২.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ হিসেবে আলোচ্য মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭৪.৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে বেশি টাকা পাঠিয়েছে প্রবাসীরা; যার কারণে রেমিট্যান্সে সুখবর এসেছে।

chardike-ad

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১১ হাজার ৫৫৪.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩ হাজার ৪৬৫.২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে হিসেবে গত অর্থবছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত এই অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমেছে ১ হাজার ৯১০.৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এ প্রসঙ্গ অবশ্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের একটি বড় অংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। সেসব দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তেলের দামও সেভাবে বাড়েনি, ফলে তাদের বাজেট ঘাটতি রয়েছে।

“এ কারণে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের আয় কমে গেছে। অনেকের বেতনও কমে গেছে; চাকরি হারিয়েছে কেউ কেউ। এ কারণে আমাদের প্রবাসী আয় কমে গেছে।”

দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রোজায় বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের স্বজনদের জন্য অতিরিক্ত অর্থ দেশে পাঠিয়েছে। তাই মে মাসের শুরুতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে। আগামী মাসের শেষ দিকে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। তাই গত মে মাসের মতো চলতি জুনের শুরুতেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক থাকতে পারে।