Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাড়ছে না ইপিএস কর্মীর সংখ্যা

গত এক দশকে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য দক্ষিণ কোরিয়া। ভাল বেতন, উন্নত জীবনযাপন, স্বল্প খরচে সরকারীভাবে কোরিয়ায় চাকরির সুযোগই এর মূল কারণ। অনেক আশাভরসা নিয়ে শুরু হওয়ার পর প্রথমদিকে ধীরে গতিতে হলেও ইপিএস কর্মীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল। কিন্তু গত ২০১১ সাল থেকে ৬বছর ধরে ৯ থেকে ১০ হাজারের ঘরে আটকে আছে।

chardike-ad

গত মে মাসের ইমিগ্রেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইপিএস ভিসায় বর্তমানে ৯ হাজার ৯৪২ জন কোরিয়ায় কর্মরত আছেন। যার মধ্যে ৫৩ জন নারী কর্মীও রয়েছেন। ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে ইপিএস কর্মীর সংখ্যা ছিলো যথাক্রমে ৯ হাজার ২৩৮ জন, ১০ হাজার ১৯২ জন বং ৯ হাজার ৭৪৫ জন।  অন্যদিকে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দুইদেশ নেপাল এবং মায়ানমারের কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে ৪ বছরে প্রায় দেড় থেকে দুইগুণ। ২০১৪ সালে নেপালের ইপিএস কর্মীর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৮৬২ জন যা ২০১৭ সালে বেড়ে ২৮ হাজার ৬২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যার হিসেবে যা বাংলাদেশের প্রায় তিনগুণ। ইপিএস কর্মীর সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে মায়ানমারের। ২০১০ সালে মাত্র ২ হাজার ৭৫৩ জন ইপিএস কর্মীর সংখ্যা ২০১৭ সালে বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ১৬১ জনে।

২০১৭ সালে ৩য় পর্যায়ে ইপিএস কর্মীর জন্য আবেদন শুরু করেছে নিয়োগকর্তারা

২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ইপিএস কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়া পর থেকেই কর্মী নিয়োগের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য তৎপরতা চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ দূতাবাসসহ বিভিন্ন কমিউনিটি। কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল আসেনি। বারবার চাকরি বদল, অবৈধ, রিফুজির সংখ্যা বৃদ্ধি, খাবারজনিত সমস্যাসহ নানা সমস্যার কথা ইপিএস সংক্রান্ত আলোচনায় উঠে আসে। ঘন ঘন চাকরি বদলের সংখ্যা কিছুটা কমে আসলেও এখনো আশানুরূপ নয়। ফলে অনেক নিয়োগকর্তারা এখনো মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া কিংবা নেপালের মত বাংলাদেশী কর্মীদের উপর আশ্বস্ত হতে পারছে না।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মোট ৪ বারে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাবে এইচআরডি কোরিয়া। যার মধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের নিয়োগ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং তৃতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া জুলাইয়ের ৩ তারিখ শুরু হয়েছে এবং ১৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে।