Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালয়েশিয়া দূতাবাসে সপ্তাহে ৩০ হাজার প্রবাসীকে সেবা

malaysiaমালয়েশিয়ায় গত এক সপ্তাহে ৩০ হাজার প্রবাসীকে সেবা দিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দেশটির অভিবাসন বিভাগের চলমান সাড়াশি অভিযানে প্রতিদিন দূতাবাসে হাজার হাজার প্রবাসী ভিড় করছেন সেবা নিতে।

দূতাবাস ছাড়া দেশটির প্রত্যেকটি প্রদেশে গত এক বছর ধরে চলছে কনস্যুলার সেবা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে রোববার দুইদিন ব্যাপী জহুর বারু সরকার নিয়ন্ত্রিত অগ্রণী রেমিটেন্স হাউসে চলছে কনুস্যুলার সেবা। শুধু জহুরবারুতেই নয় পেনাং, মালাক্কা, ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসহ প্রতিটি প্রদেশে ছুটির দিন শনি ও রোববার প্রবাসীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ দুইদিন মালয়েশিয়ার সরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও হাইকমিশন প্রবাসীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

chardike-ad

এ দিকে, সব প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রদেশের ন্যায় জহুর প্রদেশে প্রতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শনি ও রোববার এবং পেনাংয়ে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের শনিবার পেনাং জর্জ টাউন বিশপ স্ট্রিট দূতাবাসের কনস্যুলেট অফিসে এবং রোববার পেনাং বুকিত মারতাজাম অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজে কনস্যুলার সেবা দেয়া হবে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে গত শুক্রবার হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই দালালদের হাইকমিশনে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। সিরিয়াল অনুযায়ী ডিজিটাল পাসপোর্ট তৈরি এবং নবায়ন থেকে শুরু করে সবই হচ্ছে নিয়ম মোতাবেক। হাইকমিশনের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী শ্রমিকবান্ধব হওয়ায় প্রবাসীরা দ্রুত সেবা পাচ্ছেন।

malaysiaতিনি আরও বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে আসা শ্রমিকরা কোনো ধরনের দালাল ছাড়াই তাদের কাজ অল্প সময়ে শেষ করে চলে যেতে পারেন, ইতোমধ্যে সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শনিবার জহুরবারু কনস্যুলার সেবা নিতে অগ্রণী রেমিটেন্স হাউজে শত শত প্রবাসীদের ভিড় দেখা গেছে। সবার কাছে পাসপোর্ট পৌঁছাতে দূতাবাসের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাইছ হাসান সারোয়ারের নেতৃত্বে চলছে কনস্যুলার সেবা।

সেবা নিতে আসা শত শত প্রবাসীদের উদ্দেশে রইছ হাসান সারোয়ার বলেন, আপনারা দালালদের শরণাপন্ন হবেন না। আপনাদের সেবা দিতে দূতাবাস সর্বদা কাজ করছে।

প্রবাসীদের আবেদন জমা দেওয়া এবং ডিজিটাল পাসপোর্ট বিতরণের দায়িত্বে রয়েছেন দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার। এছাড়াও রয়েছেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, তারিক আহমেদ, দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখার অফিস সহকারী শুশান্ত সরকার, আরিফুল ইসলাম ও নিরাপত্তাকর্মী শামছুল ইসলাম।