Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শরণার্থীদের পুশব্যাকে রায় দিল ইইউ

refugee
২০১৫ সালে ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত হয়ে হাজার শরণার্থী ইউরোপে ঢুকে

শরণার্থীদের রাজনৈতিক আশ্রয় না দিয়ে উল্টো পুশব্যাক করার পক্ষে রায় দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সর্বোচ্চ আদালত। এর ফলে শত শত শরণার্থীকে এখন আবার ক্রোয়েশিয়ার পথে ফেরত পাঠাতে পারবে অস্ট্রিয়া ও স্লোভেনিয়া।

আজ বুধবার এ রায় দিয়ে ইইউ আদালত বিতর্কিত ডাবলিন রেগুলেশনের আইন বহাল রেখেছে। যে আইনে বলা হয়, শরণার্থীরা প্রথমে যে দেশে পৌঁছাবে সেখানেই তাদের আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে হবে।

chardike-ad

যুদ্ধ কবলিত সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে বলকানভুক্ত দেশ হয়ে ২০১৫ সালে প্রায় সাড়ে ৮ লাখের বেশি শরণার্থী ইউরোপে পৌঁছায়। শরণার্থীদের জন্য দরজা খোলা রাখায় এদের অধিকাংশ জার্মানিতে আশ্রয় নেয়। মূলত এ সময়েই শরণার্থী সংকট তীব্র আকার ধারণ করে।

ইতালি ও গ্রিসের মতো দেশগুলো ওই সময় বলে, অব্যাহত শরণার্থীদের চাপ তারা সামলাতে পারছে না এবং অনেক শরণার্থীও উত্তর ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

এরপর রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া শরণার্থীদের একটি দল মামলা করে। মামলায় উল্লেখ ছিল, ২০১৫ সালের অভিবাসন সংকট বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এ প্রেক্ষিতে ডাবলিন রুলস বাতিল করতে হবে।

আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, ক্রোয়েশিয়াও এসময় ইইউ-বহির্ভুত দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল; যাতে তারা অন্য রাষ্ট্রে থাকার জন্য আবেদন করে।

অনেকে আশা করেছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন শরণার্থীদের পক্ষে রায় দেবে। এবং শরণার্থীরা যে গ্রিস, ইতালি ও ক্রোয়েশিয়ার মতো দেশের জন্য বোঝা নয়, তা তুলে ধরবে।

কিন্তু সেটা আর হলো না। আদালত অস্ট্রিয়া ও স্লোভেনিয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিল। এখন দেশগুলো শরণার্থীদের আবার একইপথে ক্রোয়েশিয়ায় পুশব্যাক করতে পারবে।

আদালত বলেছে, যেহেতু ক্রোয়েশিয়ার সীমান্ত পার হয়েই তারা এসেছে, তাই সে দায়িত্ব তাদের। সংশ্লিষ্ট দেশটিই এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, এ রায়ের ফলে ২০১৫-১৬ বছরের অভিবাসন সংকটে সময় ইউরোপের কাঁটাতার টপকানো হাজার হাজার শরণার্থীকে এখন ভোগান্তিতে পড়তে হবে।