Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আপদমুক্ত হতে পারছে না বিমান

biman-bangladeshএয়ারবাস নিয়ে আপদমুক্ত হতে পারছে না বিমান। রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বহন করতে না পারা ২০ বছরের বেশি পুরনো রাক্ষুসে এয়ারবাস দুটিকে কোনোভাবেই সরাতে পারছে না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

তিনশ কোটি টাকার ডিসি-১০ নামমাত্র মূল্যে বিক্রির পর এবার এয়ারবাস দুটির পরিণতি একই দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এজন্য ভিন্ন অাঙ্গিকে পরপর কয়েক দফায় নিলামে তোলা হলেও কোনো ক্রেতার সাড়া মেলেনি। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে বিমান।

chardike-ad

এদিকে শত শত কোটি টাকার উড়োজাহাজগুলোর করুণ পরিণতিতে অনেকে আফসোস করলেও বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোদাদ্দিক আহমেদের মতে, পুরনো এয়ারক্রাফটে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কয়েকগুণ বেশি। বিমান এয়ারবাস দুটিকে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে বহরে রেখেছে। অথচ সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স নতুন কোনো এয়ারক্রাফট পাঁচ বছরের বেশি বহরে রাখে না। অনেক সময় পাঁচ বছর না হতেই এয়ারক্রাফটগুলোকে ফেজ আউট করা হয়। এয়ারক্রাফট যত পুরনো হয় রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় তত বাড়ে। এক সময় দেখা যায় বছরের রক্ষণাবেক্ষণের অর্থে নতুন একটি এয়ারক্রাফট কেনা সম্ভব।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ এবং ১৯৯৩ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নতুন এয়ারবাসে ৩১০-৩০০ দুটি বিমান যুক্ত হয়। গত সেপ্টেম্বরে বহর থেকে এয়ারবাস দুটি ফেজ আউট করে বিমান। পরে উড়োজাহাজ দুটি নিলামে বিক্রির কৌশল নেয়। এলক্ষ্যে প্রথমেই এয়ারফ্রেম ও ল্যান্ডিং গিয়ার বিক্রি করতে যাচ্ছে বিমান কর্তৃপক্ষ। এজন্য গত ৭ জুলাই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে এয়ারফ্রেম ও ল্যান্ডিং গিয়ার ‘যেখানে, যে অবস্থায় আছে’ ভিত্তিতে বিক্রির কথা উল্লেখ করা হয়।

বিমানের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক সম্ভার) মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত দরপত্রে বলা হয়েছে, এয়ারবাস ৩১০-৩০০ উড়োজাহাজ দুটির (নিবন্ধন নং যথাক্রমে এস২-এডিএফ/এমএসএস-৭০০ এবং এস২-এডিকে/এমএসএন-৫৯৪) এয়ারফ্রেম ও দুই লটে মোট ছয়টি ল্যান্ডিং গিয়ার বিক্রি হবে। এর মধ্যে তিনটি ল্যান্ডিং গিয়ার সচল রয়েছে। আগ্রহীদের ১০ আগস্টের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়।

এ বিষয়ে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, ডিসি-১০ যেভাবে বিক্রি করা হয়েছিল এ দুটো এয়ারবাসও একই কায়দায় ফেইজ আউটের সিদ্বান্ত হয়েছে। এতে প্রথমেই বিক্রি করা হবে এয়ারবাসের খোলনলচে ও স্পেয়ার পার্টস। দ্বিতীয় ধাপে বিক্রি হবে ইঞ্জিন। এজন্য আলাদা দরপত্র আহ্বান করা হবে।

এ তৎপরতাকে ইতিবাচক উল্লেখ করে শাকিল মেরাজ বলেন, অধ্যাধুনিক এয়ারক্রাফটে সাজছে বিমান। চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ছাড়াও বহরে রয়েছে বোয়িং ৭৩৭ ও যুগোপযোগী ড্যাস-৮। আগামী বছর আসছে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মতো এয়ারক্রাফট।