Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঋণের দায় থেকে বাঁচতে চীনা নারীর প্লাস্টিক সার্জারি

China-Surgeryঅদ্ভূত এক কাণ্ড করেছেন ঋণে জর্জরিত এক চীনা নারী। পাওনাদারদেরকে ফাঁকি দিতে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে নিজের চেহারা বদলে ফেলেছেন তিনি। আর প্লাস্টিক সার্জারির পর হাসপাতালের বিলও মিটিয়েছেন নতুন ঋণ করে। নিজের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এ বিল পরিশোধ করেছেন তিনি। তবে এতো কিছু করেও পার পেতে পারেননি তিনি। ধরা পড়ে গেছেন পুলিশের হাতে। খবর জিনহুয়া, রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও এনডিটিভির।

খবরে জানা যায়, মধ্য চীনের উহান শহরের ৫৯ বছর বয়সী ওই নারীর ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩৭ লাখ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা। বিপুল এই ঋণের ভার সইতে না পেরে ঝু নাজুয়ান নামের ওই নারী অদ্ভুত এক কৌশল বেছে নেন। প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজের চেহারা বদলে ফেলেন। তারপর নিজের শহর ছেড়ে পালিয়ে যান শেনজেন শহরে। মাঝখানে আরও কয়েকটি শহরে ঘুরে বেড়ান। ওই সময় তিনি নকল পরিচয়পত্র ব্যবহার করেন।

chardike-ad

উহানের একটি আদালত ঝু নাজুয়ানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায়ে তাকে সব পাওনা পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়ার পর তিনি ওই কাণ্ড ঘটান।

ঝু’কে আটক করার পর স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জিনহুয়াকে বলেন, আমরা এ ঘটনায় দারুণ বিষ্মিত। তিনি বলেন, প্লাস্টিক সার্জারির কারণে তার চেহারা একেবারেই বদলে গেছে। তাকে ৩০ বছর বয়সী নারীর মতো মনে হচ্ছে। আমাদের (পুলিশের) কাছে ওই নারীর ছবির সঙ্গে তার বর্তমান চেহারার একেবারেই মিল নেই।

চিনা ব্যাংকগুলো কেন ঝু নাজুয়ানকে এতো টাকা ঋণ দিয়েছে, ওই অর্থ তিনি কী করেছেন আর চেহারা বদলে ফেলার পরও তাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ-সেসব বিষয়ে কিছু বলেনি জিনহুয়া।