Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে সুর নরম করেছে যুক্তরাষ্ট্র

rex-tillersonচলতি বছরের প্রথম থেকে উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষার কারণে গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে দেশটিতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর কয়েকদিন পরেই দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রশাসন।

এরপর আলোচ্য মাসের ২৯ তারিখে দেশটি দ্বিতীয় দফায় একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) সফল পরীক্ষার ঘোষণা দেয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি স্থাপনা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুর আওতায় রয়েছে।

chardike-ad

ওই ঘটনার পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা নিরর্থক ও বিপজ্জনক পদক্ষেপ। এ ইস্যুতে চীনকেও এক দেখান ট্রাম্প।

তবে ওই ঘটনার তিন দিন যেতে না যেতেই উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে সুর নরম করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার শাসন ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল মঙ্গলবার টিলারসন বলেন, আমারা উত্তর কোরিয়ার শত্রু নই। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কিছু বিষয়ে আমরা আলোচনা করতে আগ্রহী।

টিলারসন বলেন, আমরা উত্ত কোরিয়ার শাসন ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনার চিন্তা করছি না। আমরা সরকারের পতনও চাই না, কোরীয় উপদ্বীপের একত্রীকরণের বিষয়েও কিছু বলছি না। আমরা কোরিয়ার উপসাগরীয় এলাকায় অশান্তি আনতে চাই না।

তিনি বলেন, সেখানে সেনাবাহিনী পাঠানোর কোনো অজুহাতও আমরা খুঁজছি না।

অথচ জুলাই মাসের প্রথম দিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছিলেন, প্রয়োজন পড়লে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হবে।

নিকি হ্যালি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধ ব্যবস্থার অন্যতম হলো প্রয়োজনমতো সেনাবাহিনী ব্যবহার। যদি আর কোনো উপায় না থাকে, তাহলে আমরা সেনাবাহিনী ব্যবহার করব।

তিনি বলেন, তার মতে গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনাকে বন্ধ করে দিয়েছে।