Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোলাহল ফিরে পেল কেসং শিল্পপল্লী

১৮ সেপ্টেম্বর, সিউল:

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ শিল্পাঞ্চল কেসংয়ের কারখানাগুলো গতকাল সোমবার থেকে ফের চালু হলো। পাঁচ মাস আগে দুই কোরিয়ার মধ্যকার রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় এ শিল্পপল্লী। খবর ব্লুমবার্গ ও নর্থ কোরিয়া নিউজের।

chardike-ad

সীমান্তের উত্তরে অবস্থিত শিল্পপল্লীটি আবার চালু হওয়ায় হাজার হাজার উত্তর কোরীয় শ্রমিক কেসংয়ে ফিরে এসেছে গত কয়েক দিনে। গত এপ্রিল-মে সময়ে কেসং ছেড়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন তারা। এটি উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে আশা করছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরীয় মালিকদের উদ্বেগেরও আপাত অবসান হলো। সেলফোনের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী জাইয়ং সলিউটেক কোম্পানির কর্মকর্তা লি মান ইয়ং চেকপয়েন্টে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, কেসং চালু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। শ্রমিকরাও কাজে ফিরতে পেরে আনন্দিত।

PYH2013091611790031500_P2ইয়ং বলেন, উত্তর কোরীয় কর্মীরাও কাজে ফেরার জন্য উদগ্রীব। গত পাঁচ মাস খুব খারাপ গেছে তাদের। তারা এখন কঠোর পরিশ্রমের সংকল্প করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে তৃতীয়বারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পর দেশটির বিরুদ্ধে আরো শক্ত অবস্থানে যায় জাতিসংঘ। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বার্ষিক সামরিক মহড়ার প্রতিবাদে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক হামলার হুমকি দেয়ার পাশাপাশি বন্ধ করে দেয় কাইসং। সেখান থেকে দক্ষিণ কোরীয় মালিক ও কর্মকর্তাদের বের করে দেয়া হয়।

দক্ষিণ কোরীয়দের কাছে উত্তরের সস্তা শ্রমিক অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আর কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় উত্স হলো কেসংয়ের কারখানাগুলো থেকে প্রাপ্ত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য রাজস্ব। সিউলে ইয়ং ইন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চই চ্যাং রিওল বলেন, উত্তরের জন্য কেসংয়ের এ সুবিধা ছেড়ে দেয়া খুব সহজ নয়। দেশটিকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা এনে দেয় কেসং। তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পমালিকদের জন্যও কেসংয়ের গুরুত্ব অনেক। কারখানা স্থাপনে অনেক ব্যয় করেছে তারা। তাছাড়া চলমান ব্যবসা হঠাত্ই বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিপদ তারা ভালো করেই জানেন। আগামী দিনগুলোয় কারখানাগুলো আবার বন্ধ হয়ে যাবে না, এমন নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না তারা। বণিকবার্তা থেকে নেওয়া।