Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পরমাণু অস্ত্রবাহী আইসিবিএম তৈরির কাছাকাছি রয়েছে পিয়ংইয়ং: আমেরিকা

rocketউত্তর কোরিয়া সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম পরমাণু অস্ত্রবাহী আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম তৈরির কাছাকাছি পর্যায়ে চলে গেছে। আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে এ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো যাবে বলে জানিয়েছে মার্কিন কৌশলগত কমান্ড।

আমেরিকার ডানপন্থী থিংক ট্যাংক হাডসন ইন্সটিটিউটে দেয়া ভাষণে এ সব কথা বলেন মার্কিন কৌশলগত কমান্ডের প্রধান বিমানবাহিনীর জেনারেল জন হাইটেন। আবহ মণ্ডলে পুনরায় ঢোকার সময় সৃষ্ট প্রচণ্ড তাপ সহ্য করে টিকে থাকতে পারে এমন নিখুঁত দিকনির্দেশনা তৈরির চেষ্টা করছে উত্তর কোরিয়া। এটি ছাড়া, সঠিক লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট ভাবে আঘাত হানতে পারে না আইসিবিএম। অবশ্য, এটি তৈরি করতে পিয়ংইয়ংয়ের বেশি দেরি হবে না বলে জানান তিনি।

chardike-ad

তিনি বলেন, আইসিবিএম তৈরির কাজ অব্যাহত রাখলে এ সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে পারবে পিয়ংইয়ং। কাজেই মার্কিন কৌশলগত কমান্ডের প্রধান হিসেবে তিনি ধরে নিবেন যে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রভাণ্ডারে পরমাণু বোমা এবং এটি বহনের উপযোগী আইসিবিএম আছে।

পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার নির্দেশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট দিলে সে দায়িত্ব কি করে পালন করা হবে বরং তা নিয়েই চিন্তা-ভাবনা করবেন বলেও জানান তিনি। অবশ্য তিনি বলেন, পরমাণু বোমাবহনকারী আইসিবিএম দিয়ে যদি আমেরিকায় হামলা চালায় উত্তর কোরিয়া তবে তার পরিণাম পিয়ংইয়ংয়ের জন্য মোটেও ভাল হবে না।

আইসিবিএম বিধ্বংসী মার্কিন ভূমিভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রাউন্ড-বেজড মিডকোর্স ডিফেন্স বা জিএমডি’র কথাও এ সময়ে তুলে ধরেন তিনি। ৪০ বিলিয়ন বা ৪০০০ কোটি ডলারের এ ব্যবস্থা দিয়ে উত্তর কোরিয়ার আইসিবিএম ঠেকানো যাবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি স্বীকার করেন, এ ধরণের ব্যবস্থা শতভাগ কার্যকর হয় না।

১৯৯৯ সাল থেকে জিএমডি’র ১৯ দফা পরীক্ষার মধ্যে ৯ দফাই ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ এ ব্যবস্থা ৫০ ভাগ কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, এ নিয়ে শেষ যে তিন দফা পরীক্ষা চালানো হয়েছিল তাও শোচনীয় ভাবে ব্যর্থ হয়েছে।