Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মৃতদেহের মাথায় নম্বর লিখে হাসপাতালওয়ালাদের নির্মম রসিকতা!

নিহতদের স্বজনদের আহাজারিগত শুক্রবার ভারতের মুম্বাইয়ের এলফিন্সটন রেলস্টেশনে পদদলিত হয়ে নিহতদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এটাকে অনেকেই নির্মম রসিকতা কি না- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

দুর্ঘটনার পর মুম্বাইয়ের কেইএম হাসপাতালে নেওয়া হয় হতাহতদের। সেখানে নিহতদের কপালে শনাক্তকরণ নম্বর লিখে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা নিহতদের স্বজনসহ অন্যদের মাঝে পরবর্তীতে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করে। সাধারণত (অজ্ঞাত পরিচয়দের ক্ষেত্রে) হাসপাতালে বা মর্গে রাখা মরদেহের পায়ের আঙুলে নম্বর লেখা শনাক্তকরণ টিকিট লাগানো থাকে। কিন্তু কেইএম হাসপাতালে নিয়ে আসা পদদলনে নিহতদের কপালকেই ওই শনাক্তকরণ চিহ্ন লেখার উপযুক্ত স্থান মনে করে কর্তৃপক্ষ। মৃতদেহকে অসম্মান প্রদর্শনকারী এমন অবিবেচক আচরণ শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর জন্য আরো কঠিনতর কষ্টের কারণ হয়ে দেখা দেয়।

chardike-ad

সামাজিক মাধ্যম অমন কাণ্ডের সমালোচনায় সরব হয়ে উঠেছে। টুইটারে একজন লিখেছেন, আতঙ্কে দৌড়ে পালাতে গিয়ে ঘটা দুর্ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু তারচেয়েও দুঃখজনক হচ্ছে শবদেহের সঙ্গে হাসপাতালওয়ালাদের করা আচরণ!

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অমন কাজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলছে অন্য কথা। তারা জানায়, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ২২টি মৃতদেহকে শনাক্ত করার কাজটি খুবই কঠিন হয়ে দেখা দেয়। কারণ, বিশাল সংখ্যায় লোক হাজির হয়েছিল সেখানে তখন।

নিজেদের পক্ষে সাফাইয়ে হাসপাতালের ফরেনসিক সাইন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. হরিশ পাঠক শুক্রবার এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা সবগুলো মরদেহের ছবি নেই, সেসবে নম্বর লাগাই এরপর ল্যাপটপ স্ক্রীনে ও ফ্লেক্স বোর্ডে স্বজনদের সেসব দেখাই।

হাসপাতাল আরো জানায়, ময়নাতদন্তের পর মাথায় লেখা ওইসব নম্বরগুলো মুছে ফেলা হয়।

ডা. পাঠক বলেন, মৃতদেহগুলো দ্রুত চিহ্নিতকরণে হাসপাতালের পক্ষ থেকে দ্রুততর, সম্মানজনক আর নির্ভরযোগ্য এই কায়দা অনুসরণ করা হয়। এর সমালোচনা করা ভুল হবে। এনবিটি