Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ

Divorceবিবাহ বিচ্ছেদ। ছোট্ট এই শব্দ দুটির মধ্যে লুকিয়ে আছে শত-সহস্র শান্তির সংসার ভেঙে যাওয়ার অজস্র কাহিনি। তাই বিবাহ বিচ্ছেদ ঠেকাতে যুগে যুগে সমাজ ব্যবস্থায় গৃহীত হয়েছে নানা রকম পদক্ষেপ। তবে চীনের সিচুয়ান প্রদেশের ইবিন আদালত বিবাহ বিচ্ছেদ ঠেকাতে একটি অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন।

আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করা দম্পতির জন্য একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে অন্য পরীক্ষার থেকে এটি একটু ব্যতিক্রম। এই পরীক্ষায় ফেল করলে তবেই মিলবে বিবাহ বিচ্ছেদ।

chardike-ad

পরীক্ষাটি হবে শূন্যস্থান পূরণ, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর এবং বিবৃতি; এই তিন বিভাগে। মোট একশ নাম্বারের এই পরীক্ষায় স্বামী এবং স্ত্রীকে আলাদা দুই সেট প্রশ্ন দেওয়া হবে। প্রশ্নপত্রে তাদের পারিবারিক জীবনের নানা দিক সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। পাস নাম্বার ষাট। যদি কোনো দম্পতি আলাদা করে ষাটের কম পায় তবেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ অনুমোদন করা হবে।

গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন দম্পতি উতরে গেছেন। ফলে তাদের আর বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হয়নি।

যার মস্তিষ্কপ্রসূত এই অভিনব চিন্তা, ইবিন আদালতের সেই বিচারকের নাম অং সিউ। তিনি বলেন, ‘বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমাণ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমি এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি যেন কোনো দম্পতি বিবাহ বিচ্ছেদের পূর্বে ভাবার সুযোগ পায়। আমিও স্ত্রী, সন্তান নিয়ে একটি পরিবারে বাস করি। সুতরাং আমি চাই না কোনো পরিবার ভেঙে যাক।’

প্রায় দেড়শ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীনে বিবাহ বিচ্ছেদ একটি স্বাভাবিক ঘটনা। ফলে ইবিন আদলতের গৃহীত এ ধরনের পদক্ষেপ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই প্রশংসা করেছেন। আবার অনেকই একে বাঁকা চোখে দেখছেন। তারা বলছেন, বিবাহ বিচ্ছেদ যেখানে একটি মানুষের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার সেখানে এই ধরনের পদক্ষেপ ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের শামিল।