Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রোহিঙ্গা প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে ব্যাপক কড়াকড়ি ভারতের

bsfভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) প্রতিবেশি বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) সঙ্গে চারদিনের দ্বিবার্ষিক বৈঠক করেছে। ভারতে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরিকল্পনা করা হয় এই বৈঠকে।

বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মা ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসাইন বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশ এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দ্বি-বার্ষিক এই বৈঠক গত ২ অক্টোবর শুরু হয়।

chardike-ad

বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, তারা বিএসএফ’কে আশ্বস্ত করেছেন যে, বাংলাদেশ সরকারের নীতি খুবই স্পষ্ট এবং কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের মাটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হবে না। এমনকি এটি নিজেদের দেশ এবং প্রতিবেশি ভারতেও হতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। বিএসএফ প্রধান শর্মা বলেন, বৈঠকে দুই পক্ষই রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করেছেন।

বিএসএফের এই প্রধান বলেন, বাংলাদেশে বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা প্রবেশ করায় এই সমস্যা গুরুতর। আমরা দু’পক্ষই সতর্ক আছি। ভারতে রোহিঙ্গাদের প্রবেশে বাড়তি প্রভাব সম্পর্কে আপনাদের বাস্তবসম্মত ধারণা আছে। আমাদের দুপক্ষই (বিজিবি-বিএসএফ) এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে।

কে কে শর্মা বলেন, বিজিবি নিশ্চিত করেছে, রোহিঙ্গাদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তারা বিভিন্ন রুটে বেশ কিছু তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে যাতে রোহিঙ্গারা ভারতে প্রবেশ করতে না পারে।

ভারত-বাংলাদশের চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের ১৪০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। বিএসএফ’র শনাক্ত করা এসব স্থান দিয়ে রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। অতিরিক্ত জনশক্তি ও প্রযুক্তি সামগ্রী মোতায়েনের মাধ্যমে এসব পোস্টে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সূত্র : পিটিআই।