দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ নৌমহড়াকে সামনে রেখে নতুন বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে যৌথ নৌমহড়ায় নেতৃত্ব দেবে যুদ্ধবিমানবাহী একটি মার্কিন রণতরী। কঠোর বাঁমঘেঁষা উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শক্তির প্রদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে এই মহড়াকে।
যৌথ মহড়ার ঘোষণায় উত্তর কোরিয়া উগ্র মেজাজ দেখাতে অভ্যস্ত। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সূত্রের বরাত দিয়ে দৈনিক ডংলা ইলবো বলেছে, স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে, পিয়ংইয়ংয়ের পাশে বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রবোঝাই উৎক্ষেপণযান (লাঞ্চার) সরানো হচ্ছে। এতে আরো বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করছে, যুক্তরাষ্ট্রের সীমানায় আঘাত হানতে সক্ষম বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
ডংলা ইলবোর খবরে বলা হয়েছে, আন্তঃমহাদেশীয় হোয়াসং-১৪ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। অথবা হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপ আঘাত করতে সক্ষম, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষা চালাতে পারে তারা।
এ দুই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া নতুন ধরনের হোয়াসং-১৩ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে আঘাত করতে সক্ষম, তেমন কোনো একটি ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষা করতে পারে উত্তর কোরিয়া। পাল্লা ও শক্তির বিচারে আন্তঃমহাদেশীয় হোয়াসাং-১৩ ক্ষেপণাস্ত্র অনেক বেশি শক্তিশালী।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, ‘সামরিক গোয়েন্দা তথ্যের বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন