Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নাটোরে একসঙ্গে দুই বন্ধুর আত্মহত্যা

natore-two-student-deadনাটোরের সিংড়ায় কীটনাশক খেয়ে একসঙ্গে দুই বন্ধু আত্মহত্যা করেছে। রোববার দুপুরে সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের হুলহুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- তাজপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের আমিন হোসেনের ছেলে ইমন (১৩) ও চৌগ্রাম ইউনিয়নের হুলহুলিয়া গ্রামের মৃত বকুল প্রামাণিকের ছেলে নিশাত (১৩)। দুজনই সিংড়া উপজেলার হুলহুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। তারা বিশ্বস্ত বন্ধু ছিল বলে জানা গেছে।

এদের মধ্যে ইমনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আর নিশাতের মরদেহ বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। তারা প্রেমঘটিত কোনো কারণে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

chardike-ad

হুলহুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী লাইব্রেরিয়ান তৌফিক পরশ জানান, ইমন ও নিশাত হুলহুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। ইমনের রোল ৩০ ও নিশাতের রোল ২৬। সকালে দুজন স্কুলে এসে সহপাঠীদের বলে, ‘আমরা দুজন সুইসাইড করব, দুজনের আজ শেষ দিন।’ এই বলে তারা স্কুল থেকে বেরিয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, স্কুল চলাকালীন সময়ে খবর আসে স্থানীয় হুলহুলিয়া প্রামাণিক পাড়া এলাকায় একটি পুকুর পাড়ে তারা কীটনাশক গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছে। আমরা ছুটে গিয়ে দেখি পুকুর পাড়ে দুজন পড়ে আছে। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের সিংড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং নিশাতকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখানে নিশাতেরও মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, ইমনের বাড়ি সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে। হুলহুলিয়া গ্রামে তার খালার বাসায় থেকে সে পড়াশোনা করত। এর আগে সে সিংড়া পৌর শহরের দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজ এবং নিংগইন জোড়মল্লিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। আর নিশাত হুলহুলিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তারা দুজন বিশ্বস্ত বন্ধু ছিল। নিয়মিত স্কুলে যেত। তবে নিশাত একটু বখাটে স্বভাবের ছিল। তাদের কারও কাছে স্মার্ট ফোন ছিল না। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা রহস্যজনক।

সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ইমনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে তারা আত্মহত্যা করেছে।