Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইউরোপের অদ্ভুত এবং অপূর্ব কিছু বাড়ি

অব্যবহৃত ট্রেনের বগি থেকে পুরনো গ্রিনহাউস, এমনকি শস্যের গুদাম: আজ এমন সব বাড়ির কথা আপনাদর জানাবো যেগুলো আপনি আগে কখনো দেখেননি৷

train-houseট্রেনের বগিতে বসবাস: সত্তরের দশকে তৈরি ডাকবাহী ট্রেনের এই বগিগুলো জার্মানির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর মার্লের শিল্পঞ্চলে জায়গা করে নেয়ার আগে পর্যন্ত হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে৷ আলোকচিত্রী ভেনেসা স্টলবাওম এবং মার্কো স্টেপনিয়াক এগুলোর একটিতে বসবাস করেন৷

chardike-ad

train-house-innerট্রেন বাড়ির ভেতরটা যেমন: ট্রেনের ভেতরকার ডিজাইন অনেকটাই ধরে রাখা হয়েছে, তবে সঙ্গে যোগ করা হয়েছে বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ফার্নিচার এবং যন্ত্রপাতি৷ যেমন, আগে চিঠি রাখার তাকগুলোতে এখন রাখা হচ্ছে গ্লাস, কাপ এবং ছুরি-চামচ৷

green-houseগ্রিনহাউসে বসবাস: ড্রেসডেনের কাছের এই গ্রিনহাউসটি শুধু নার্সারি নয়, মনিকা এবং টোমাস ট্রিলের বাড়িও৷ ২০ বছর আগে তাঁরা তাঁদের স্বপ্নপূরণ করেছে: সেটা হচ্ছে একই জায়গায় থাকা, কাজ করা এবং পরিবেশকে উপভোগ করা৷

green-house-inner‘সবুজ বাড়ির’ ভেতরটা যেমন: টিল দম্পতি গ্রিন হাউসের কাঁচের ছাদের নীচে সাধারণ এক পাথুরে বাড়ি গড়েছে৷ এখানে তারা দিনেরবেলায় তাদের নার্সারির খদ্দেরদের সেবা দিয়ে থাকে৷ আর নিজেদের অবসর সময় তারা কাটায় গাছপালার সঙ্গে, সে গ্রীষ্ম বা শীত – যে সময়ই হোক না কেন৷

gudamশস্য গুদামে বসবাস: নেদারল্যান্ডসের হেগে এই বাড়িটি আগে ছিল শস্যগোলা৷ স্থপতি ইয়ান কর্বস গোলাকার এই গুদামকে দুই তলা বাড়িতে রূপ দিয়েছেন, যেখানে আছে শোবার ঘর, রান্নাঘর, চুলা এবং বাথটাব – সবকিছু ১৩ বর্গমিটারের মধ্যে৷

gudam-innerভেতরটা যেমন: শস্যগুদাম থেকে তৈরি বাড়িটির ভেতরের সবকিছু পুর্নব্যবহার করা হচ্ছে৷ ইয়ান কর্বস দেখাতে চেয়েছেন, টেকসই বাড়ি তৈরি সত্যিই সম্ভব৷ স্থপতি রান্নার ওভেনটি ছাড়া নতুন আর কিছুই ব্যবহার করছেন না তাঁর বাড়িতে৷

bankerবাংকারের মধ্যে বসবাস: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আটশ’র মতো মানুষ বিমান হামলা চলাকালে এই বাংকারের মধ্যে আশ্রয় নিতে পারতেন৷ একদল স্থপতি এখন সেই বাংকারটিকে আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রূপ দিয়েছেন৷ ধাতুর তৈরি মোটা দেয়াল কেটে জানালা তৈরিতে অবশ্য বিশেষ টুল ব্যবহার করতে হয়েছে৷

inlight-house৭০ বছর পর আলোর দেখা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রায় ৭০ বছর পর সংস্কার করা ভবনটির মধ্যে এখন সূর্যের আলো ঢুকতে পারছে৷ অথচ তৈরির সময় এই ব্যবস্থা ছিল না৷ বর্তমানে আটটি পরিবারের বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে৷ডয়েচে ভেলে