Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সিঙ্গাপুরে আর কোনো গাড়ি নয়

singapore
সিঙ্গাপুরের একটি ব্যস্ত সড়ক

সিঙ্গাপুরে আর কোনো গাড়ি নয়। আগামী বছর থেকে নতুন কোনো ব্যক্তিগত গাড়ির নিবন্ধন দেবে না দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। আয়তনে অত্যন্ত ছোট এই দেশটিতে এমনিতেই গাড়ির সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে বলে মনে করছে সরকার। তার ওপর গণপরিবহণের জন্য বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে তারা। খবর খালিজ টাইমসের।

বিশ্বের অত্যন্ত ব্যয়বহুল দেশ সিঙ্গাপুর। ছোট্ট এই দেশে সড়কের সংখ্যাও সীমিত। তারপরও দেশটির মোট আয়তনের প্রায় ১২ শতাংশ চলে গেছে সড়ক নির্মাণে। মাত্র ৬০ লাখ জনসংখ্যার ওই দেশে গাড়ির সংখ্যা ৬ লাখ। উন্নত গণপরিবহণ ব্যবস্থা থাকার পরও দেশটিতে প্রতি বছর গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ছে। তাতে চাপ বাড়ছে সড়কে। এমন অবস্থায় যানজট ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশটি আপাতত নতুন কোনো গাড়ি ও মোটরসাইকেলের নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

chardike-ad

সিঙ্গাপুরে ব্যক্তিগত গাড়ি রাখা অনেকটা বিলাসিতার মতো। উচ্চ করের কারণে এ দেশে গাড়ির মূল্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় চারগুণ। কিন্তু তাতেও গাড়ির প্রবৃদ্ধি কমছে না উচ্চ আয়ের এই দেশে। এমন অবস্থায় সরকার গত কয়েক বছর ধরেই গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। দেশটিতে প্রতি ১০ বছরের জন্য সরকারের কাছ থেকে ব্যক্তিগত গাড়ির অনুমতিপত্র কিনতে হয়। গত সপ্তাহে ছোট আকারের অনুমতিপত্রের মূল্য ছিল ৪১ হাজার ৬১৭ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার, বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৫ লাখ টাকা।

চলতি বছর গাড়ি প্রবৃদ্ধির সর্বোচ্চ লক্ষ্য ধরা হয়েছিল দশমিক ২৫ শতাংশ। আগামী বছর এটিকে শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে আপাতত এই ৩ বছরের জন্য কার্যকর হচ্ছে। আগামী ২০২০ সালে তারা পুনরায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে।

ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের কারণে জনগণের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন সিঙ্গাপুর সরকার। এ জন্য গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালি করা হচ্ছে। দেশটিতে রেলওয়ের নেটওয়ার্ক বাড়ানো হচ্ছে ৩০ শতাংশ। এর জন্য তারা ব্যয় করবে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা।বাস সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়াতে ব্যয় করা হবে ৪শ কোটি ডলার।

দেশটিতে অবশ্য এমনিতেই উবার ও গ্রেব’এর মতো শেয়ারিং ট্যাক্সি সার্ভিস জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সব মিলিয়ে গণপরিবহণে কোনো সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে সরকার।