Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ওজন বাড়লেই পরীক্ষায় ফেল

weight-controlপরীক্ষায় পাসের প্রথম শর্ত হচ্ছে ভালো লেখাপড়া। কিন্তু নানজিং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ভালো লেখাপড়া করলেই ছাত্ররা পরীক্ষায় পাস করতে পারে না। কারণ এখানে পরীক্ষায় পাস করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার পাশাপাশি প্রত্যেক ছাত্রকে একটি নির্দিষ্ট শারীরিক ওজনের অধিকারী হতে হয়।

শুনতে অদ্ভুত ও হাস্যকর মনে হলেও সম্প্রতি চীনের জিয়াংসু প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়টি এই নিয়ম চালু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় মাসব্যাপী একটি সেমিস্টারের ষাট শতাংশ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে ওজন কমানোর ওপর। বাকি চল্লিশ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ তাদের একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর।

chardike-ad

প্রতিটি সেমিস্টারের শুরুতে প্রত্যেক ছাত্রকে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তাদের সঠিক ওজন পরিমাপ করাতে হয়। যদি কারো শরীরে মেদের পরিমাণ তার ওজনের ত্রিশ শতাংশ বেশি হয় তবে তাকে ওই সেমিস্টার শেষ হওয়ার পূর্বে অবশ্যই কঠোর অনুশীলন ও খাদ্যাভাসের মাধ্যমে বাড়তি মেদ ঝরাতে হবে। তবেই মিলবে সেমিস্টারের সম্পূর্ণ নম্বর।

তবে যাদের ওজন কম, তাদের বেঁচে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ তাদের জন্যও প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন শারীর চর্চা ক্লাসে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

অদ্ভুত এই ধারণাটি জো কুয়ানফু নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের মস্তিষ্কপ্রসূত। তিনি বলেন, ‘আমি জেনে অবাক হয়েছি যে, অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত শরীরচর্চা করে না। ফলে তারা মুটিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শারীরিকভাবেও কাজের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। তাই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। আশাকরি ছাত্ররা অন্তত তাদের পরীক্ষায় পাসের নম্বরের জন্য হলেও নিয়মিত শরীরচর্চা করবে।’