Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
muslim
ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়ে বুকে জড়িয়ে নিলেন, আবেগে কেঁদে ফেলেন ট্রে আলেক্সজান্ডার রেলফোর্ড

আড়াই বছর আগের একটি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছিল। আদালত মামলার একমাত্র আসামিকে সাজাও দেন ৩১ বছরের কারাদণ্ড। সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিহত ছেলের বাবা হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিলেন। আর বুকে জড়িয়ে নিলেন ছেলের হত্যাকারীকে। আবেগে কেঁদে ফেলেন ওই যুবক। মঙ্গলবার আমেরিকার কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লেক্সিংটন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

২০১৫ সালের এপ্রিলে সালাহউদ্দিন জিতমোউদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। সালাহউদ্দিন কেনটাকির লেক্সিংটন এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে পিৎজা দিতে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাপার্টমেন্টের পাশেই খালি জায়গা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তিনি পিৎজা সরবরাহকারী গাড়ির চালক ছিলেন।

chardike-ad
muslim-forgive
নিহত সালাহউদ্দিন জিতমোউদ ও তার বাবা ড. আবদুল মুনিম সোমবাত জিতমোউদ

এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়। তবে আদালত কেবল রেলফোর্ডকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলার রায়ের পরই নিহতের বাবা ড. আবদুল-মুনিম সোমবাত জিতমোউদ আসামি ট্রে আলেক্সজান্ডার রেলফোর্ড ক্ষমা করে দেন। ড. আবদুল-মুনিম জানান, ইসলামের সুমহান আদর্শ থেকেই তিনি এই কাজ করেছেন। যার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে তিনি যদি তাঁকে ক্ষমা না করেন, তাহলে আল্লাহও তাঁকে ক্ষমা করেন না।

আবদুল মুনিম বলেন, সালাহউদ্দিন ও তাঁর মায়ের পক্ষ থেকে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। তিনি জানান, ‘এই দুই বছর সাত মাস আমাদের জন্য অনেক খারাপ সময় গেছে। যাই হোক তা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে এবং এর ওপর আমাদের বিশ্বাস করতে হবে।’

রেলফোর্ড বলেন, ‘আমার আসলে বলার কিছুই নেই। ওই দিন যা হয়েছে তার জন্য আমি সত্যি দুঃখিত। আপনার ছেলেকে আমি ফিরিয়ে দিতে পারব না।’
আবদুল-মুনিম বলেন, ‘আমি এই অন্যায় কাজের জন্য ক্ষুব্ধ। যারা তোমাকে (রেলফোর্ড) ভুল পথে পরিচালিত করেছে। যেজন্য তুমি এই মারাত্মক অপরাধ করেছ। তবে আমি তোমাকে দোষ দেই না। তুমি আজ থেকে নতুন জীবন পেলে।’