Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রবাসীরা যেন হয়রানির শিকার না হন, কূটনীতিকদের প্রধানমন্ত্রী

কূটনীতিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের প্রবাসী বাঙালি যাঁরা আছেন, যেন কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হন। তাঁদের দিকে মানবিক দৃষ্টি দিয়ে আচার-আচরণ করবেন। তাঁদের একটা আস্থার জায়গায় এনে দেবেন।’

chardike-ad

আজ রোববার প্রথমবারের মতো আয়োজিত দূত সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর একটি হোটেলে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রবাসীদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অর্থনীতিতে তাঁরা বিরাট অবদান রাখছেন। আমরা এতগুলো কূটনীতিক মিশন চালাচ্ছি, এর সিংহভাগ উপার্জন কিন্তু তাঁরা করছেন।’

বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে দূত সম্মেলন। যেখানে অংশ নিয়েছেন ৫৮টি দেশে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতাবিরোধী ও কয়েকটি এজেন্সির লোকজন বিদেশে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে তা মোকাবিলায় তৎপর হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া প্রবাসীদের ভালো-মন্দ খেয়াল রাখতেও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গ। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তিকে সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু প্রতিবেশী দেশ, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে একটা ভালো সদ্ভাব রেখে আমরা কিন্তু সমস্যাটা সমাধান করতে চাই। এ ব্যাপারে সমাধান করে মিয়ানমারের লোকদের যেন মিয়ানমারে পাঠাতে পারি, সে ব্যাপারেও আপনারা আরো সক্রিয় থাকতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এ সময় বর্তমান সরকারের নেওয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন আর কেউই বাংলাদেশকে করুণার চোখে দেখে না, বরং সমীহ করে। তবে অনেকেই বিদেশে বসে পরিকল্পিতভাবে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ যা মোকাবিলায় বিদেশি মিশনগুলোকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা তো ক্ষমতায় ছিল ২১ বছর। অর্থ, সম্পদ অঢেল তাদের। তারা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার বিভিন্ন দেশে চালাচ্ছে। সেই সাথে কিছু কিছু সংস্থাও আছে। পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচারগুলো চালানো হচ্ছে, সেদিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘যেটা বাস্তব যেটা সত্য, সেটা যেন সে দেশগুলোতে তুলে ধরা যায়, সেদিকে আপনারা দৃষ্টি দেবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ যদি আবার ভোট দেয় আসব। আর যদি না দেয়, আসব না। কিন্তু এ উন্নয়নের ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নিয়েছে। আর অন্য দেশের সন্ত্রাসীদেরও কোনোভাবেই বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। এনটিভি।