Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ছয় শতাংশ মানুষের দখলে রাজধানীর প্রায় ৫০ শতাংশ রাস্তা

সিউল, ১৬ অক্টোবর ২০১৩:

দেশে প্রাইভেট কার ব্যবহার করে প্রায় ছয় শতাংশ মানুষ। আর এদের দখলেই থাকে রাজধানীর রাজপথের প্রায় অর্ধেক।বাকী ৯৪ শতাংশ মানুষের জন্য অবিশিষ্ট ৫০ শতাংশ রাস্তা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তাও নেই। কারণ এর মধ্যে আবার ৪০ শতাংশ দোকানপাট, গাড়ি পার্কিং ও হকারদের অবৈধ দখলে। কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার (এসটিপি)এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।dhaka_road

chardike-ad

গবেষণায় বলা হয়েছে, একটি আধুনিক শহরে কমপক্ষে ২৫ ভাগ রাস্তা থাকা প্রয়োজন।কিন্তু ঢাকা শহরে আছে মাত্র আট ভাগ। আর এই আট ভাগের ৪০ শতাংশই অবৈধ দখলে। গবেষণায় আরও দেখানো হয়েছে, রাজধানীতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ লোক রাস্তা ব্যবহার করে।কিন্তু প্রাইভেট কারের আধিক্য, অবৈধ দখল আর রাস্তার স্বল্পতার কারণে সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজট। যাতে প্রতিদিন নষ্ট হয় প্রায় ২০ লক্ষাধিক বাণিজ্য ঘন্টার।বছরে তেলের ক্ষতি হয় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার। সব মিলিয়ে এক বছরে অপচয় হয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। সমস্যা নিরসনে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় বাস র‍্যাপিড ট্রান্সপোর্ট(বিআরটি) ও মাস র‍্যাপিড ট্রান্সপোর্ট(এমআরটি) বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল। তারপর উড়ালসেতু ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মত বড় বড় প্রকল্প হাতে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

কিন্তু সরকার সে পথে না হেটে উড়ালসেতু ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মত বড় বড় প্রকল্প নিয়েই এগুচ্ছে।যার কারণে সমস্যার কোনো সমাধান দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। বরং তারা বলছেন, সরকার বড় প্রকল্প হাতে নেয় বড় অংকের দুর্নীতি করার জন্য। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউটের (আইবি) সাবেক সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ‘সরকারের কিছু উদ্যোগ দেখে মনে হয়েছে, শরীরের উপরের অংশে দামী শার্ট-টাই পড়ানো হচ্ছে আর নিচের অংশ নগ্ন রাখা হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে যে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে তা ব্যবহার করতে পারছে মাত্র ছয় থেকে দশ শতাংশ মানুষ। আর বঞ্চিত হচ্ছে নব্বই শতাংশ মানুষ’।

তিনি বলেন, একটি শহরের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন উপযুক্ত হাটার রাস্তা তৈরি করা।এর সাথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পারলে সমস্যা কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন। মোবাশ্বের হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত পরিমানে উন্নত ও মানসম্মত গণপরিবহনের ব্যবস্থা করতে পারলে, মানুষের মধ্যে প্রাইভেট কার ব্যবহারের প্রবনতা কমে যাবে।এতে করে রাস্তার উপর চাম অনেক কমে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এমআরটি ব্যবস্থা চালু করতে পারলে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ চলাচল করতে পারবে।

এরপর ঢাকা শহরের বাইরের সাথে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ ট্রেন সার্ভিস এবং নদী পথে যাতায়াত আরও আকর্ষনীয় করা গেলে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিল্পব ঘটবে বলে তিনি দাবী করেন। সূত্রঃ অর্থসূচক।