Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে উ. কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া মার্কিন সেনার মৃত্যু

স্নায়ুযুদ্ধের সময় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পালিয়ে উত্তর কোরিয়ায় যাওয়া মার্কিন সেনা চার্লস রবার্ট জেনকিন্স মারা গেছেন। উ. কোরিয়ায় ৪০ বছর কারাভোগ করা এই মার্কিন সেনা ৭৭ বছর বয়সে জাপানে তার স্ত্রীর পৈত্রিক নিবাস সাদোতে মারা গেছেন।

chardike-ad

জেনকিন্সের উ. কোরিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের সবচেয়ে অদ্ভুত ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে স্কুটার ডাকনামের সেই সময়ের ২৪ বছর বয়সী সার্জেন্ট দুই কোরিয়ার ডিমিলিটারাইজড জোনে প্রহরার সময়ে হাওয়া হয়ে যান। ২০০৪ সালে জাপানে হওয়া কোর্ট মার্শালে তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপদজনক ডিউটি ও ভিয়েতনাম যুদ্ধ এড়াতে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন। ৪০ বছর উ. কোরিয়ায় বন্দী থাকার পরে ২০০৪ সালে জাপানে ফেরেন তিনি।

জেনকিন্স ১০টি ক্যান বিয়ার পান করে রাইফেল হাতে  নিয়ে উত্তর কোরিয়ার দিকে যাত্রা শুরু করেন। তার পরিকল্পনা ছিল রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করা। কিন্তু উ. কোরিয়া তাকে গ্রেফতার করে কারাবন্দী করে। উ. কোরিয়ায় থাকার সময়ে জেনকিন্স সেখানের সেনাদের ইংলিশ শেখাতেন। উ. কোরিয়ার প্রোপাগান্ডায় জেনকিন্সকে ‘শয়তান মার্কিন গুপ্তচর’ হিসেবে দেখানো হয়। উ. কোরিয়ায় তার সঙ্গে পরিচয় ২০ বছরের ছোট জাপানি নারী হিতোমি সোগার সঙ্গে। উ. কোরিয়ার সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য সোগাকে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল।

নিজের ও সোগার সঙ্গে হওয়া তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য উ. কোরিয়ার সব চাওয়া তাকে পূরণ করতে হয়েছে বলে জানান তিনি। কোর্ট মার্শালে তিনি বলেন, উ. কোরিয়াকে না বলার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি কিম ইল সাং সম্পর্কে কোনো খারাপ কথা বলে তবে সেটা হবে নিজের কবর খোঁড়ার সমতুল্য।

হিতোমি সোগাকে ২০০২ সালে জাপানে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়, ২০০৪ সালে দুই কন্যাসহ ফেরেন জেনকিন্স। সেনাবাহিনী ত্যাগের জন্য ৩০ দিনের কারাভোগ শেষে জেনকিন্স স্ত্রী সোগার গ্রাম সাদোতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেখানে একটি গিফট শপে কাজ করতেন তিনি, উ. কোরিয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছেন যার নাম হচ্ছে. ‘দ্য রিলাকটেন্ট কমিউনিস্ট: মাই ডিজারশন, কোর্ট মার্শাল, অ্যান্ড ফরটি ইয়ার ইমপ্রিজনমেন্ট ইন নর্থ কোরিয়া’। রয়টার্স।