এশিয়ার সবচেয়ে কর্মব্যস্ত দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘বিশ্রামের অধিকার’ প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এজন্য দেশটির শ্রম আইনে পরিবর্তনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাজের প্রতি সামাজিক আচরণ পরিবর্তনে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা পরীক্ষামূলকভাবে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
অতিরিক্ত কাজের জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে দেশটি। এ কারণে জন্মহারের পাশাপাশি উৎপাদনশীলতাও কমছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
নভেম্বরে করা এই চুক্তি অনুযায়ী, সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৬৮ থেকে কমিয়ে ৫২ ঘণ্টা করা হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন কাজের জন্য ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত পরিশোধের কথাও বলা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন দক্ষিণ কোরিয়ানদের ‘বিশ্রামের অধিকার’ প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগ নেন। তবে পরীক্ষামূলক এই চুক্তি আলোচনার জন্য এখনও ‘প্লেনারি সেশনে’ উত্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কারণ কয়েকজন আইনপ্রণেতা এবং শ্রমিক ইউনিয়ন ছুটির দিনে কাজের জন্য শতভাগ পরিশোধের দাবি তুলেছে।
তাদের দাবি এতে করে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করার হার কমবে এবং জরুরি প্রয়েজানে কাজ করতে হলেও এর যথাযথ মূল্য পাবে।
এক জরিপে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ানরা বছরে ২ হাজার ৬৯ ঘণ্টা কাজ করে।