Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিপ্লবী নারীদের নিয়ে রচিত বই থেকে সু চির নাম সরানোর দাবি

Onsan suceeমিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর গণহত্যাকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন অং সান সু চি। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন বন্ধে সু চির ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। আর তারই জের ধরে এবার বিপ্লবী ও সাহসী নারীদের নিয়ে রচিত একটি বই থেকে সু চির নাম বাদ দেয়ার দাবি উঠেছে।

‘গুড নাইট স্টোরিজ ফর রিবেল গার্লস’ নামে ওই বইটিতে সু চির যে বিপ্লবী গল্প তুলে ধরা হয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বইটি লেখার সময়ে তিনি ছিলেন বিশ্বের চোখে নির্যাতিতদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সাহসী এক কণ্ঠ। শান্তিতে নোবেলজয়ীও। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার সেই অবস্থান নড়ে গেছে।

chardike-ad

এ ব্যাপারে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে সহিংসতাকে জাতিসংঘ গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছে তা নিয়ে সু চি খুব কম শব্দই উচ্চারণ করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে সু চির নীরবতাই কি সরকারের বা সে দেশের সেনাবাহিনীকে মদদ যুগিয়েছে। তাই বইটির পরবর্তী সংস্করণে সু চির নাম বাদ দেয়ার দাবি উঠেছে। সে দাবি এতটাই জোরালো যে, বইয়ের দুই লেখিকা এলেনা ফাভিলি এবং ফ্রান্সেস্কা কাভালো বই থেকে সু চির অংশ সরিয়ে দেয়ার কথাই ভাবছেন।

সু চির ২১ বছরের গৃহবন্দি থাকার দিনগুলো থেকে শুরু করে তার মুক্তি পর্যন্ত সময়কাল ধরা রয়েছে বইটিতে। সু চিকে নিয়ে এমন সব কথা পড়ে ফেসবুকে এক অভিভাবক লিখেছেন, বইটির ৯৯ শতাংশ খুবই অসাধারণ। কিন্তু জাতিগত নিধনে অভিযুক্ত কেউ কীভাবে এ বইতে থাকতে পারেন? এটা বিরক্তিকর।

তিনি আরও জানান, সু চি এমন একজন, যিনি কিছুই করেন না। উল্টো জাতিনিধন, শিশু হত্যা, গণধর্ষণের মতো নির্যাতনের অভিযোগ শুনে চুপ করে থাকেন! উনি এই বইতে, আমি হতবাক!

আরেক অভিভাবক লিখেছেন, ‘তিন বছরের মেয়েকে গোলাপি রাজকুমারির দুনিয়া ছেড়ে অন্য কিছু শেখাতে চেয়েছিলাম। এ বইতে এমন কয়েকজন নারী রোল মডেলের কথা রয়েছে, যারা নিজেদের জীবনের লড়াইটা নিজেই লড়েছেন। কোনো রাজপুত্রের ভরসায় থাকেননি। সেখানে সু চিকে দেখে আমি হতাশ। রোহিঙ্গা সংকটের পরে তাকে আর মেনে নেয়া যায় না।’