Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্বজুড়ে বিনামূল্যে অংক শেখানো সালমান জনপ্রিয়তার তুঙ্গে

Salman_Khanচলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ বছরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভ’ত আমেরিকান সালমান খানের (খান একাডেমি) অংক শেখানোর ভিডিও দেখা হয়েছে ১.২ বিলিয়ন অর্থাৎ ১২০ কোটি বার। আর তার ইউটিউব গ্রাহক সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশী।

বরিশালের ফখরুল আলম এবং মুর্শিদাবাদের মাসুদা খান দম্পতির সন্তান সালমান খানের জন্ম হয় যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে মেটাইরিতে। মেধাবি ছাত্র সালমান গ্র্যাজুয়েশন করেন বিশ্বখ্যাত এমআইটি থেকে এবং এমবিএ করেন হার্ভার্ড থেকে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সালমান তার কাজিন নাদিয়াকে ২০০৩ সালে অংক শেখান ইন্টারনেটে। নাদিয়ার কাছে তা এতটাই পরিচ্ছন ও সহজবোধ্য মনে হয়েছে যে, তার সকল বন্ধু-বান্ধবকে বিষয়টি অবহিত করেন। সকলেই আগ্রহী হন সালমানের কাছে অনলাইনে অংক শিখতে।

chardike-ad

অনেকের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৬ সালের ১৬ নভেম্বর ইউটিউবে একটি একাউন্ট খোলেন সালমান। তার ম্যাথ কোর্সগুলো ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করেন। রাতারাতি সেই ভিডিওগুলো বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এ অবস্থায় সালমান ফাইন্যান্সিয়াল এনালিস্টের চাকরি ছেড়ে ইউটিউবে কোর্স ডেভেলপমেন্টে মনোযোগী হন।

ম্যাথ কোর্সের ভিডিও শুরু করেছিলেন শুধু ইংরেজী ভাষায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাষা-ভাষী ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনায় রেখে বাংলা, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, ফ্রেঞ্চ, ইটালিয়ান, রাশিয়ান, টার্কিশ ভাষায়ও আপলোড করেছেন। কেবল ম্যাথ দিয়ে খান একাডেমির যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এসএটি ও এমক্যাট কোর্সও করানো হচ্ছে। নতুন বছরে আসছে এলএসএটি কোর্স।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশী বংশোদ্ভ’ত আমেরিকান জাওয়াদ করিমসহ ৪ বন্ধু মিলে ইউটিউব উদ্ভাবন করেছেন। আর সেই ইউটিউবের সবচেয়ে গঠনমূলক ও সফল ব্যবহার করলেন সালমান খান। ইউটিউবে সালমান খানের ম্যাথ শেখানোর পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠলে ২০১১ সালের ১৫ জুলাই মাইক্রোসফটের বিল গেটস এ্যাসপেন আইডিয়াস ফেস্টিভ্যালে বলেছিলেন যে, ‘তার ছেলে কম্প্যুটারে একটি ম্যার্থ কোর্স দেখিয়ে বলেছিল, বাবা, স্কুলে যা শিখতে পারিনি, এই ইউটিউব আমাকে তা অত্যন্ত সহজে শেখাচ্ছে। এরপর আমি নিজেও আগ্রহভরে তা দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হই। এরপরই সালমান খানের সন্ধান করি।’

বিল গেটসের এ বক্তব্য রাতারাতি বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়ে যায়। এক পর্যায়ে এই অলাভজনক অনলাইনভিত্তিক ‘খান একাডেমি’র উন্নয়নকল্পে বিল গেটস ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংস্থা অর্থ সহায়তা দিয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৪ কোটি ছাত্র-ছাত্রী এবং ২ কোটি শিক্ষক প্রতিমাসে ইউটিউবে খান একাডেমি থেকে তালিম নিচ্ছেন। মূল ৯টি ভাষা ছাড়াও অনেকে স্বেচ্ছাশ্রমে আরো ৩৬ ভাষায় এই কোর্সসমূহের অনুবাদ করছেন।