দক্ষিণ কোরিয়ার অসংখ্য তরুণ তরুণী বিটকয়েন রোগে ভুগছে। এর ফলে তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে অল্পতেই খিটখিটে মেজাজ, অলসতা, অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, এবং ক্ষুধামন্দার মতো লক্ষণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন টাকা হারানো এবং ব্যর্থতা প্রকট হচ্ছে এই বিটকয়েন আসক্তির জন্য।
খিয়ংহি ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সেন্টারের পার্ক জং হু বলেন ‘অন্যান্যদের কাছে বিটকয়েনের সৌভাগ্যের কথা জেনে অনেকেই নিজেদের অর্থ বিনিয়োগ করে চরম আফসোস এবং ব্যর্থতার শিকার হচ্ছেন। ২০ বছর বয়সী তরুণেরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
আসান মেডিকেল সেন্টারে শিন ইয়ং উক বলেন, যেসব তরুণ অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তারাই এসব কাজের দিকে ঝুঁকছে কেননা চাকরীর বাজার এখন খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে তারা বাস্তবতা থেকে পালাতে এবং দ্রুত ধনী হবার জন্যে এসব খাতে অর্থ বিনিয়োগ করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছে এবং আরো বেশি বিচলিত হচ্ছে।
বিটকয়েন একদিনে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ তে ওঠানামা করে যা বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই হতাশাজনক। হতাশাগ্রস্থ বিনিয়োগকারীরা মনে করেন যে, সরকার আরো বেশি ক্ষতি করে দিচ্ছে এই খাতে।
বাংলা টেলিগ্রাফ/সুয়াইবা শিকদার