যুক্তরাজ্যের এক বিমানবন্দরের টয়লেটে নারী যাত্রীর সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, সন্তান প্রসবের পর ওই নারী নবজাতককে সেখানে ফেলে রেখেই চলে গেছেন।
বার্তা সংস্থা এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় দেখা গেছে একজন গর্ভবতী নারী বিমানবন্দরের টয়লেটে ঢুকেছেন। কিন্তু সদ্যজাত সন্তানকে রেখেই তিনি পালিয়ে যান।
১৪ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে দেশটির অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের টুসকোন বিমানবন্দরে ঘটনাটি ঘটেছে। সাম্প্রতি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ও ভিডিও প্রকাশ করেছে।
বিমানবন্দরের এক কর্মী একটি নোটসহ শিশুটিকে উদ্ধার করেন। ওই নোটে লেখা ছিল- ‘তার (নবজাতক) জন্য যেটি সবচেয়ে ভালো, আমি সেটিই করেছি। আমি আসলে এরকম না। প্লিজ! আমি খুবই দুঃখিত।’
নোটটির আরেকটি জায়গায় শিশুটির পক্ষে তার মা লিখেন, ‘আমাকে সাহায্য করো। আমার মা বুঝতে পারনেনি যে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন। আমার দেখাশোনা করার জন্য তিনি উপযুক্ত নন। দয়া করে আমাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে যান যাতে আমার ভালো একটা ব্যবস্থা হয়।’
এদিকে ওই বিমানবন্দর পুলিশ জানায়, শিশুটির যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, এ জন্য তার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিমানবন্দরের জোয়ানা কুইন্টিনা নামের এক নারী কর্মী শিশুটিকে উদ্ধার করেন। তিনি পুলিশকে বলেন, ‘আমি ওই নারীর মুখোমুখি হয়েছিলাম, টয়লেটের চত্বরে রক্তের ফোয়ার দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা? জবাবে ওই নারী জানান, শিশুটির বয়স তিন মাস হবে।’ তবে আর কোনো কথা না বলে তিনি তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যান।
শিশুটির শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। রক্তাক্ত কাপড়ের মধ্যে নবজাতকটি পড়েছিল। শিশুটি এখন আরিজোনা চাইল্ড সেফটি ডিপার্টমেন্টের জিম্মায় রাখা হয়েছে।