Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নকল ঠেকাতে এবার আন্ডারওয়্যার পরিয়ে পরীক্ষা!

india-newsনকলের মহোৎসব করে এর আগেও বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনাম হয়েছিল ভারতের পূর্বাঞ্চলী রাজ্য বিহার। গত বছর একটি পাবলিক পরীক্ষা চলার সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের দেয়ালে দলবেঁধে মই লাগিয়ে নকল সরবরাহের ছবি প্রকাশ হয়েছিল। আর তাতে ছি ছি পড়ে গিয়েছিল। আর এবার নকল ঠেকানোর পন্থা নিয়ে আলোচনায় সেই বিহার। রবিবার সেনাবাহিনীতে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে খোলা মাঠে আন্ডারওয়্যার পরিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এর আগে নিয়োগ পরীক্ষায় নকল করার বিতর্কের প্রেক্ষিতে এবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রকাশিত খবরে একথা জানা গেছে।

লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সময় তোলা একটি ছবিতে দেখা যায়, কয়েকশ পরীক্ষার্থী খোলা মাঠে সারিবদ্ধভাবে বসে আছেন। তাদের পরণে শুধু আন্ডারওয়্যার। অনেকে নিজের উরুতে রেখে পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখছেন। আবার কেউ তা পাশে রেখে বিশ্রাম নিচ্ছেন। এ সময় উর্দি পরা সেনা কর্মকর্তাকেও দেখা যায়। এক হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী হওয়ার ফলে সময় বাঁচানোর জন্যই এ বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাসূত্র।

chardike-ad

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘যখন পরীক্ষাকেন্দ্র চক্কর ময়দানে প্রবেশ করলাম তখন আমাদের আন্ডারওয়্যার ছাড়া সবকিছু খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিরক্ত লাগলেও নির্দেশ পালন ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। এক পরীক্ষার্থী থেকে আরেকজনের দূরত্ব ছিল ৮ ফুট।’

আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘এতো মানুষের পরীক্ষা হলরুমে নেওয়া হবে তা আমরাও চিন্তা করিনি। কিন্তু কাপড় খুলে পরীক্ষায় বসতে বলাটা সম্মানজনক না।’

সেনা কর্মকর্তারা জানান, রবিবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ১৫৯ জন অংশ গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে সাধারণ ডিউটি বিভাগে ৭৭৫জন, করণিক বিভাগে ২১১ জন এবং কারিগরী বিভাগে ১৭৩ জন। লিখিত পরীক্ষা এক ঘণ্টা নেওয়া হয়। এর আগে গত ৪ ও ১২ ফেব্রুয়ারি মেডিক্যাল ও শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্নেল ভি এস গোধারা জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা যাতে অতিরিক্ত কিছু নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার সময় তোলা ছবি দেখিয়ে জানতে চাইলে কর্নেল বলেন, আমি একটা ছবি দেখেছি কিন্তু তা খুব অস্পষ্ট।

স্থানীয়রা জানান, সেনাবাহিনীর নিয়োগে আন্ডারওয়্যার পরিয়ে এবার দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষা নেওয়া হলো।

এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা এভাবে পরীক্ষা নেওয়াকে ‘প্রশাসনিক ভ্রষ্টতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।