Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আত্মবিশ্বাস থেকেই ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ কিমের!

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানানোর পর প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করার পর আর কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না দেশটির। মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’র সম্পাদকীয়তে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। ওই সম্পাদকীয়র বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া বলছে অবরোধের চাপে নয় বরং আত্মবিশ্বাসের কারণেই দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই আলোচনা কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে কোনও তথ্য জানানো হয়নি।

chardike-ad

পারমাণবিক কর্মসূচীর কারণে ২০০৬ সাল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আরোপিত অবরোধের আওতায় থাকা উত্তর কোরিয়া এই বছরেও বেশ কয়েকটি অবরোধের মুখে পড়ে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ার ৫০ জাহাজ ও সামুদ্রিক পরিবহন কোম্পানির ওপর অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট  ট্রাম্প নতুন এই অবরোধকে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশল বলে অভিহিত করে। অবশ্য সাম্প্রতিক অবরোধের আগেই দক্ষিণ কোরিয়ায় গত মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখায় উত্তর কোরিয়া। তাদের অংশগ্রহণে অলিম্পিক শেষ হলে উত্তর কোরিয়া সফরে যান দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। তাদের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করলে বিভিন্ন মহল থেকে আলোচনা ওঠে অবরোধের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের কারনেই আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

মঙ্গলবারে কেসিএনএ-তে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সমালোচনাকারীদের ছোট মনের অধিকারী বলে বর্ণনা করা হয়েছে। কেসিএনএ’র সম্পাদকীয়তে বলা হয়, শান্তিপ্রিয় এই প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে সেটিই হবে দুই দেশের ক্ষমতাসীন নেতাদের মধ্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত কোনও বৈঠক।

চলতি মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের। বুধবার তিনি জানিয়েছেন, তিন জাতির একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানের বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।