Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফেসবুক ব্যবহারে মূল্য নির্ধারণের পরিকল্পনা

facebook-hackedতরুণ প্রজন্মের মধ্যে সোস্যাল মিডিয়া বিশেষ করে ফেসবুক আসক্তি অনেক বেশি। আর এই আসক্তি ঠেকাতে ফেসবুক ব্যবহারে আলাদা মূল্য নির্ধারন করতে যাচ্ছে বিটিআরসি।

‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে টেলিযোগাযোগ সেক্টরের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এই পরিকল্পনার কথা জানান কমিশনের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ।

chardike-ad

তিনি বলেন, এটা অনস্বীকার্য যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সবার হাতে হাতে পৌঁছে গেছে। দুঃখের বিষয় হল, মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ঘাঁটাটায় (ব্রাউজ) প্র্যাকটিক্যালি ইয়ং জেনারেশন খুব একটা ক্রিয়েটিভ হচ্ছে না।

আজকে আমি দেখেছি ইয়ংগার জেনারেশনের ভেতরে ম্যাক্সিমাম ব্যবহার করে ফেসবুক চ্যাটিং করার জন্য। এটি কিন্তু ক্রিয়েটিভ ইউজ না।

তরুণদের ইন্টারনেটে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হতাশা থেকে শুরু করে ঘুম কম হওয়াসহ নানা অসুস্থতার জন্যও একে দায়ী করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকে ডিজিটাল আফিম হিসেবে আখ্যায়িত করে শাহজাহান মাহমুদ বলেন, এটি ‘ডিজিটাল কোকেন’ অ্যাডিকশনের মতো হয়ে গেছে। আজকাল ইয়ংগার জেনারেশন একবার ফেসবুকের মধ্যে ঢুকলে আর বের হতে চায় না।

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘সামাজিক বিপ্লব’ দরকার মন্তব্য করার সঙ্গে নিজের সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, খুব শিগগিরই প্রস্তাব করবো যে যাতে ইন্টারনেটে ক্রিয়েটিভ ইউজের জন্য কোনো বন্দোবস্ত করা যায়। কোনো একটা বিশেষ রেইট দেওয়া যায় ফেসবুক ব্যবহারের জন্য, আবার ক্রিয়েটিভ ইউজ যদি করা যায়, তাহলে আরেক রকমের রেট। তাহলে হয়তবা ফেসবুক ব্যবহার না করে জ্ঞান আহরণের জন্য চেষ্টা করবে।

শাহজাহান মাহমুদ বলেন, আমরা ইন্টারনেট প্রসারের ব্যাপারে চেষ্টা করে যাই, মাইলের পর মাইল ফাইবার অপটিক নিয়ে যাচ্ছি, তবে নিরাপত্তার দিকে তেমন নজর দেওয়া হচ্ছে না। এ সমস্ত নতুন নতুন বিষয়ে জনগণকে আরও নিরাপত্তা দিতে বিটিআরসিতে ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি।

তিনি বলেন, সরকার অনুমোদন দিলে শুধু নিরাপত্তা না, অন্যান্য অনেক বিষয়ে এ ধরনের সেবা জনগণের হাতে দেওয়ার আগে ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করে দেখব, ভালো কোনটা, খারাপ কোনটা। যাত জনগণ আরও ভালো সুবিধা পায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিশেষ অতিথি ছিলেন টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পড়ে শোনান টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বিটিআরসি সচিব মো. সরওয়ার আলমের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আলম এবং অ্যামটব মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবিরও বক্তব্য রাখেন।