সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা নয়। এখন প্রসব বেদনা চলছে। তিন-চার মাসের মধ্যেই সংস্কার কাজ শেষ হবে। কাজ শেষ হওয়ার পর মানুষ সুখে-শান্তিতে ও আরামে চলাফেরা করতে পারবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা সেতুমন্ত্রীর কাছে ‘রাস্তাঘাটের বেহাল দশা থেকে পরিত্রাণ কবে’ জানতে চাইলে জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিফিংকালে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেবেন কি-না। জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি-না, সেটি ডিএমপি কমিশনারের ব্যাপার। তারা বিএনপির সমাবেশকে নিরাপদ মনে করলে অনুমতি দেবে, নিরাপদ মনে না করলে অনুমতি দেবে না। এই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া, না দেওয়া নিয়েই আমরা বেকায়দায় আছি। অনুমতি দিলে বলে সরকার বাধ্য হয়ে অনুমতি দিয়েছে। আবার অনুমতি না দিলে বলে দেশে গণতন্ত্র নাই।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সরকারকে বাধ্য করতে গত ৯ বছরে ৯ মিনিটের জন্যও বিএনপি কিছু করে দেখাতে পারেনি। তাদের শাসনামলেও আমাদের এমনও দিন গেছে যে আমরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে পর্যন্ত দাঁড়াতে পারিনি।
বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগকে অবান্তর দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকালও তারা স্বাধীনতা দিবসের র্যালি করেছে। অথচ যানজট হবে বলে আমরা সরকারি দল এই র্যালি করিনি। অনুমতি না দিলে এই র্যালি তারা কীভাবে করলো?
গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে দেশ চালাবে কে? মির্জা ফখরুল সাহেব? নাকি খালেদা জিয়া?
সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষ এখন ইলেকশনের মুডে আছে, আন্দোলনের মুডে নয়।বিএনপির এমন কোনও কাজ নাই, যা নিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবে।