Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আমিরাতে সবজি চাষে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের হান্নান

hannanসংযুক্ত আরব আমিরাতে যে কয়জন সফল চাষী গ্রিন হাউজে শাকসবজি উৎপাদন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তাদের মধ্যে কুমিল্লার লাকসামের মোহা্ম্মদ আবদুল হান্নান অন্যতম। যিনি নিজের মেধা আর শ্রম দিয়ে আমিরাতের গ্রিন সিটি আল আইনের অদূরে আল জাহারায় শত শত গ্রিন হাউজ নির্মাণ করে আর তাতে নানা জাতের শাক সবজিসহ কেয়ার বা শসা চাষ করে আলোচিত হয়েছেন।

আমিরাতের রাজধানী আবুধাবী হতে প্রায় ১৮০ কি.মি. আর গ্রিন সিটি আাল আইন হতে প্রায় ৪০ কি.মি. দূরে আল জাহারা নামক স্থানে মরুভূমির লাল বালুতে শত শত একর জায়গায় নিজের মেধা আর শ্রমে ৪০ মিটার দীর্ঘ আর ৯ মিটার প্রস্থ ১৩০টি গ্রিন হাউজ নির্মাণ করেছেন তিনি। যেখানে তিনি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন স্থানীয় আরবি ও প্রবাসীদের প্রিয় সবজি কেয়ার বা শসা। তাতে তিনি পেযেছেন সুনাম ও আর্থিক সফলতা। পাশাপাশি দেশের নামকে করেছেন উজ্জ্বল।

chardike-ad

দেশ হতে ২ বছর মেয়াদী ভোকেশানাল ট্রেনিং প্রাপ্ত আর গ্রিন হাউজ আর কৃষি ফার্মের ওপর আবুধাবী গর্ভমেন্ট হতে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা প্রাপ্ত এ তরুণ চাষী নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেমন নির্মাণ করেছেন শত শত গ্রিন হাউজ। তেমনি এ গ্রিন হাউজে কেয়ারসহ নানা জাতের শাক সবজি চাষ করে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি করেছেন। গ্রিন হাউজের উপর ইউএই সরকারের বৈধ সার্টিফিকেট থাকাতে তার ফার্মে উৎপাদিত কেয়ার বা শশা গুলো স্হানীয় মার্কেটেও পাচ্ছে ভাল দাম। যা আমিরাত সরকার ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি করছে।

তরুণ এ গ্রিন হাউজ বিশেষজ্ঞ এ চাষীর আরো গ্রিন হাউজ নির্মাণ তথা গ্রিন হাউজে সবজি চাষের মহা পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও দেশীয় ভিসা বন্ধ থাকাতে তিনি এগিয়ে যেতে পারছেন না। তিনি দেশীয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করতে যেমন স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করেন তেমনি কৃষিতে আমাদের দেশীয় শ্রমিকদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অন্যান্য্য দেশের শ্রমিকদের চেয়ে বেশী বলে জানান। তাই তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানানে যাতে করে নতুন ভিসা চালু না হলে অন্তত আভ্যন্তরিন ভিসা পরির্বতেন সুযোগ সৃষ্টি করার ব্যবস্হা করতে।

ভিসা বন্ধ থাকার কারনে এ সফল গ্রিন হাউজ চাষী এখন নিজেকে ঠিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ