Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানিতে ধীরগতি

সিউল, ২ ডিসেম্বর ২০১৩:

চলতি বছরের নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় রফতানি বেড়েছে মাত্র দশমিক ২ শতাংশ, যা পূর্বাভাসের চেয়ে কম। এর মাধ্যমে উদীয়মান দেশগুলোর শ্লথ প্রবৃদ্ধি ও ইউরোপের সংকটের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আবারো গতি হারাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।

chardike-ad

imagesচলতি বছরের নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানি বেড়েছে আগের বছরের চেয়ে মাত্র দশমিক ২ শতাংশ। এ সময়ে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্ রফতানিকারক দেশটির রফতানি বাড়ার পূর্বাভাস ছিল ২ দশমিক ৮ শতাংশ। এর পাশাপাশি এ সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের সংগঠন আসিয়ানে রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। যার মধ্যে রয়েছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

সিউলের এইচআই ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজের অর্থনীতিবিদ পার্ক সেঙ্গহাইউন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় দেশগুলোর অর্থনীতি ভালো অবস্থানে যেতে শুরু করেছে। তবে এর পরও তারা অন্যকে পুরোপুরি সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় এখনো যেতে পারেনি।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের নভেম্বরে আসিয়ানের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোয় রফতানি কমেছে ১১ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০০৯ সালের আগস্টের পর সবচেয়ে খারাপ। মূলত ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায়ই এ অবস্থা আরো দ্রুত হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মোট রফতানির ১৮ শতাংশই যায় আসিয়ানের দেশগুলোয়। অন্যদিকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মোট রফতানির যথাক্রমে ২৭ ও ১০ শতাংশ যায় আসিয়ানের দেশগুলোয়।

পার্ক জানান, বিশ্বের বাণিজ্য উন্নয়ন এখনো বেশ দুর্বল। এ অবস্থা আগামী বছরের প্রথম দুই প্রান্তিক ধরে অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন তিনি। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শিল্প ও বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট পণ্যের চেয়ে ছোট আকারের পণ্য রফতানিতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।

বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি কমেছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে দশমিক ৭ শতাংশ। এ সময়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় বাইরের দেশ থেকে আমদানি কমেছে আগের বছরের চেয়ে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। তবে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে চীনের আমদানি বেড়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।

চলতি বছরের নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার আমদানি কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ। এ হার রয়টার্সের ঘোষিত পূর্বাভাসের চেয়েও অনেক কম। মূলত দেশটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ার আমদানি ও রফতানি উভয়ই বেড়েছিল। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নতি ও ইউরোপের বাজারে আস্থা ফিরে আসার ফলেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে মন্দা কাটিয়ে ওঠার গতি আরো ত্বরান্বিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল বিশ্লেষকরা। সূত্রঃ বণিক বার্তা।