Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আসাদকে হত্যার ইঙ্গিত ইসরায়েলি মন্ত্রীর

israel ministerইসরায়েলের একজন মন্ত্রী বলেছেন, ইরানি বাহিনীকে যদি সিরিয়ার ভেতর তৎপরতা চালিয়ে যেতে দেয়া হয়, তাহলে ইসরায়েল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকেও হত্যা করতে পারে।

ইসরায়েলি মন্ত্রী ইয়োভাল স্টাইনিটয বলেছেন, ইরান যদি সিরিয়ার ভেতর থেকে ইসরায়েলের ওপর হামলা করতে পারে, তাহলে বাশার আল-আসাদকে শেষ করে দেয়া হবে। তার সরকারকে ক্ষমতা থেকে ফেলে দেয়া হবে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ইরান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষ নিয়েছে। সিরিয়ার ভেতরে ইরানি বাহিনী এবং মিলিশিয়া মোতায়েন করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট আসাদকে রক্ষায়।

chardike-ad

ইসরায়েল মনে করছে, ইরানি বাহিনী তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। ইসরায়েল সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ার ভেতরে বেশ কিছু বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী এসব হামলায় তারা ইরানি সামরিক তৎপরতাকেই টার্গেট করেছিল।

সিরিয়া নিয়ে ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে গত ফেব্রুয়ারি থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যখন সামনের সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি আর নবায়ন করবেন কীনা সে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তখন ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে বলে আশংকা তৈরি হয়েছে।

গত ৯ই এপ্রিল এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ায় নিহত হন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের নয় জন সদস্য। তেহরান তখন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে তারা এর প্রতিশোধ নেবে। এই পটভূমিতেই ইসরায়েলের জ্বালানি মন্ত্রী ইয়োভাল স্টাইনিটয প্রেসিডেন্ট আসাদকে হত্যার হুমকির কথা বললেন।

“ইরানকে যদি এমন সুযোগ করে দেয়া হয় যে তারা সিরিয়াকে আমাদের বিরুদ্ধে একটা প্রতিরক্ষাব্যুহে পরিণত করবে, ইসরায়েল তখন সিরিয়ার ভেতর থেকে ইরানের যে কোন হামলার জবাব দিতে পারে। প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতা থেকে ফেলে দিতে পারে।”

এর মানে কি এই যে ইসরায়েল প্রেসিডেন্ট আসাদকে হত্যার চেষ্টা করবে? এ প্রশ্নের উত্তরে ইসরায়েলি মন্ত্রী বলেন, “আমরা তার রক্ত নেব।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি। একটি ইসরায়েলি ওয়েবসাইটে অবশ্য সরাসরি ইয়োভাল স্টাইনিটযকে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, তিনি পরিস্কারভাবেই বলেছেন ইসরায়েল প্রেসিডেন্ট আসাদকে হত্যা করবে।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদকে রক্ষায় তার পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া, লেবাননের হেযবোল্লাহ মিলিশিয়া এবং ইরান। ইসরায়েলের আশংকা হচ্ছে, সিরিয়ার ভেতরে ইরান ঘাঁটি গেড়ে বসবে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিরিয়া-লেবানন জুড়ে একটি ব্যাপক ফ্রন্ট তৈরি হবে।