Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৫ জন

accidentঈদযাত্রার ১৩ দিনে সারা দেশে সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৩৫টি। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৪০৫ জন। আহত হয়েছে ১ হাজার ২৭৪ জন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘ঈদযাত্রায় (ঈদুল ফিতর) দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০১৮’ তৈরি করেছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে সড়কপথে। ১৩ দিনে ২৭৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৩৯ জন। আহত হয়েছে ১ হাজার ২৬৫ জন। একই সময়ে নৌপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, ৫৫ জন নিখোঁজ ও নয়জন আহত হয়েছে। রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩৫ জন, ট্রেনের ধাক্কায় চারজন ও ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে দুজনসহ মোট ৪১ জন নিহত হয়েছে।

chardike-ad

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কপথে সংঘটিত দুর্ঘটনার মধ্যে ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশই ঘটেছে বাসে। একইভাবে ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ১২ দশমিক ২২ শতাংশ নছিমন-করিমন, ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ অটোরিকশা, ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ কার-মাইক্রোবাস, ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ মোটরসাইকেল এবং ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে অন্য যানবাহনে।

মোট দুর্ঘটনার ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ ঘটেছে মুখোমুখি সংঘর্ষে। এর বাইরে ৩২ দশমিক ৭২ শতাংশ পথচারী পারাপারে, ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১ দশমিক ১০ শতাংশ চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে, দশমিক ৭৩ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে ও ১৮ দশমিক ২০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে অন্যান্য কারণে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির এ সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের জীবন গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর ঈদে যে পরিমাণ মানুষ মারা যাচ্ছে, তা দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। সরকারের দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের যানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সেইফ রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অ্যালায়েন্স শ্রোতার সমন্বয়ক সদরুল হাসান মজুমদার, পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন প্রমুখ।