১৯ ডিসেম্বর ২০১৩, সিউল:

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীদের যৌথ পরিবেশনায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শেষ হয়ে গেল এক ব্যাতিক্রমী সংগীত অনুষ্ঠান আয়োজন। বাংলাদেশস্থ দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাসে এ সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।

chardike-ad

বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর বারিধারাস্থ দক্ষিণ কোরিয় রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এই অনুষ্ঠানটি হয়।

40yearsঅনুষ্ঠানের শুরুতেই আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইউন-ইয়ং, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মুস্তাফা কামাল এবং বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত নুসরাত ইমরোজ তিশা।

সংগীত সন্ধ্যাটিকে বাংলাদেশ-কোরিয়ার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন হিসেবে আখ্যায়িত করে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইউন ইয়ং বলেন, ‘এই আয়োজন বাংলাদেশী জনগণের জন্যে আন্তর্জাতিক সংগীত উপভোগের সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে। তাই এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সংস্কৃতি বিনিময় বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

আলোচনা পর্ব শেষে শুরু হয় মূল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুরুতেই সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের দুই শিল্পী নবনীতা চৌধুরী ও লাবিক কামাল গৌরব। তারা একে একে ‘রূপ দেখিলাম’, ‘পারে কে যাবি নবীর নৌকাতে আয়’, ‘আহা রে সোনালী বন্ধু’, ‘আমার দয়াল পরশমনি গো’, ‘নির্জন যমুনার কূলে’ প্রভৃতি গান গেয়ে শোনান।

বাংলাদেশী শিল্পীদের পরিবেশনা শেষ হওয়ার পর, একাধারে কোরিয়ার জনপ্রিয় সাত শিল্পী লিম ডং চাং, সোপরানো পার্ক সুং, কাং মু-লিম, চো জু সিওন, কিম ইয়ং কিল, কিম সুন হো ও সন জুং জিন কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী সংগীত পরিবেশন করেন।

এ সময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দর্শক – শ্রোতারা করতালির মাধ্যমে দুই দেশের শিল্পীদের পরিবেশনা উপভোগ করেন এবং অভিনন্দন জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এবং দ. কোরিয় সরকারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সে হিসেবে দুটি দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চার দশকে পা রাখল।