Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় আনন্দ উৎসবে বাংলাদেশীদের মিলনমেলা

মোহাম্মদ আল আজিম, উইজংবু থেকে

chardike-ad

আজ রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার বাংলাদেশী অধ্যুষিত শহর উইজংবুর সিনহান ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ উৎসব। ‘বাংলাদেশ উৎসব আয়োজক কমিটি’র আয়োজনে এই আনন্দ উৎসবে যোগ দিয়েছেন হাজারো বাংলাদেশী। বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পীদের গান, নাচ ও বিভিন্ন বাংলা খাবারের আয়োজনসহ অন্যান্য আয়োজনে মেতে উঠে কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিউলস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উইজংবু সিটি মেয়র আন বিয়ং ইয়োং। এছাড়াও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দসহ কোরিয়ার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উৎসবে সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন ‘দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের নিজের দেশকে জানার এবং নিজের ইতিহাসকে জানার সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উৎসবের মত অনুষ্ঠানগুলো অনেক বড় ভূমিকা রাখে’। তিনি আগামীতে আরো জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সব বাঙালি একসাথে মেতে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথি উইজংবু সিটি মেয়র আন বিয়ং ইয়োং বলেন ‘তিনি বাংলাদেশেকে খুব বেশি পছন্দ করেন। এর কারণ হিসেবে জানান বাংলাদেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি হলেও তারা অনেক সুখী। সেই জন্য জীবনের বাকিটা সময় তিনি বাংলাদেশে বসবাস করতে চাওয়ার আশা পোষন করেন।

শেষে লটারি বিজয়ীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেন আয়োজক কমিটির সিনিয়র সদস্যরা। উৎসবের বড় আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন ধরণের বাংলা খাবারের স্টল। প্রবাসীরা তাদের জীবনের একাকীত্ব দূর করতে এবং বন্ধু বান্ধবের সাথে দেখা করার সুযোগ করে নিতে অনেকেই বাংলাদেশ উৎসবে এসে হাজির হয়।

প্রবাসীদের আনন্দ দিতে বাংলাদেশ উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এইসময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী আঁখি আলমগীর এবং আগুন। জনপ্রিয় এই দুই শিল্পীর গান কোরিয়া প্রবাসীরা আনন্দের সাথে নেচে গেয়ে উপভোগ করেন। এর আগে স্টেজ মাতিয়েছেন কৌতুক অভিনেতা কাজল এবং মডেল অভিনেত্রী প্রিয়াংকা। একি স্টেজে কোরিয়ার পরিচিত স্থানীয় এবং জনপ্রিয় শিল্পীরা পারফর্ম করে মঞ্চ মাতিয়েছেন।

sentbe BT

আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেনএম জামান সজল, হাসিবুল হাসিব, এম এন ইসলাম ও কে এম আসাদ। আয়োজকবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ উৎসব আমরা প্রতিবছর আয়োজন করব। কোরিয়ার এই ব্যস্ত জীবনে শুধু বন্ধবান্ধব নয়, স্বদেশী হাজারো মুখ দেখার সুযোগ হয়েছে। পুরো বছরে দেখা না হওয়া বন্ধুদের সাথেও এই উৎসবে দেখা হয়। সকল কোরিয়া প্রবাসীকে উৎসবে আসার জন্য আয়োজকবৃন্দ ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ উৎসবে আয়োজক কমিটির সাথে সহযোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল কোরিয়া একচেঞ্জ ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, স্টার রেমিট, আল মাইয়িদা হালাল ফুড, ইএস শিপিং, ফর ইউ মার্ট এবং মিরে ট্রেডিং। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল বাংলাভিশন এবং বাংলা টেলিগ্রাফ।