Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দ. কোরিয়ার চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি

সিউল, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩:

দক্ষিণ কোরিয়ায় নভেম্বরে চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চলতি হিসাবে যে উদ্বৃত্ত হয়েছে, তা সরকারি পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক অব কোরিয়া’ (বিওকে)।
খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।

chardike-ad

গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, অক্টোবরে রেকর্ড ৯ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার চলতি হিসাব উদ্বৃত্তের পর নভেম্বরে তা ৬ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে টানা ২২ মাস ধরে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি চলতি হিসাবে উদ্বৃত্তের মধ্যে রয়েছে। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে সর্বশেষ ঘাটতির মধ্যে পড়েছিল দেশটি।

imagesচলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশটির চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে ৬৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। অথচ বছরজুড়ে ৬৩ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে এ বছর চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে গেছে। এমনকি গত বছর বার্ষিক উদ্বৃত্ত ৪৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারকে ছাড়িয়ে যাবে এ বছরের হিসাব।

এদিকে দেশটির পুরো অর্থনীতির অর্ধেকটা জুড়ে থাকা রফতানি খাত এক বছর আগের তুলনায় ১ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হয়ে ৪৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর আমদানি দশমিক ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। বিওকে জানায়, টিভি, মনিটরসহ ইস্পাত পণ্যের রফতানি কমে যাওয়ায় মোবাইল ডিভাইস, মেমরি চিপস ও জাহাজ রফতানি বাড়ার সুফল পায়নি দেশটি। এছাড়া সেবা খাত যেমন— পরিবহন, ভ্রমণ ও অন্যান্য সেবা ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭০০ মিলিয়ন ডলারে। দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ দেশের বাইরে ভ্রমণ ও রয়্যালটি পেমেন্ট বাবদ ব্যয় কমিয়ে দেয়ায় এ খাতের সংকোচন হয়েছে বলে জানায় বিওকে। অথচ অক্টোবরে এ খাতে ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার এবং এক বছর আগের একই সময়ে ২৫০ মিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল বলে জানানো হয়।

শিল্প উত্পাদন ছিল অপরিবর্তিত : এ বছরের নভেম্বরে দ. কোরিয়ার শিল্প উত্পাদন অক্টোবরের মতো অপরিবর্তিত ছিল। গাড়ি উত্পাদন কমে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে গতকাল প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায় দেশটির পরিসংখ্যান অধিদফতর ‘স্ট্যাটিটিকস কোরিয়া’।

পরিসংখ্যান অধিদফতর থেকে বলা হয়, এ সময়ে খনি খাতে উত্পাদন, ম্যানুফ্যাকচারিং, গ্যাস ও বিদ্যুত্ উত্পাদনের অবস্থা ছিল অপরিবর্তিত। অথচ অক্টোবরে টানা ১১ মাসের মধ্যে এ খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে দ্রুত। এক বছর আগের তুলনায় নভেম্বরে শিল্প উত্পাদন বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১২ সালের নভেম্বরের পর মাসভিত্তিতে অক্টোবরেই এ খাতের উত্পাদন বেড়েছে দ্রুত। মেমরি চিপস ও এ সম্পর্কিত উপাদানগুলোর উত্পাদন বেড়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে পেট্রোকেমিক্যাল উত্পাদন বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু এ সময়ে দেশটির প্রধান রফতানি পণ্য গাড়ির উত্পাদন কমেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ।

এদিকে এ বছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি প্রসারিত হয়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১১ সালের প্রথম প্রান্তিকের পর অর্থনীতি সম্প্রসারণের হার এ সময়ে ছিল সবচেয়ে বেশি। চলতি বছর দেশটির অর্থনীতি ২ দশমিক ৭ এবং আগামী বছর ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হারে সম্প্রসারিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির সরকার।