অনলাইন প্রতিবেদক, সিউল, ৩ জানুয়ারী ২০১৪:
বহুল প্রতীক্ষার পর অবশেষে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংসদ দেশটির চলতি বছরের সরকারি বাজেট অনুমোদন করেছে। প্রবল বিরোধিতার মুখেও অনুমোদন পেয়েছে সংশোধিত ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন অ্যাক্ট ও ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস অ্যাক্টের মতো বেশ কিছু বিতর্কিত বিল।
প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৯.৩ শতাংশ বাড়িয়ে সবচেয়ে বেশী ১০৬.৪ হাজার কোটি উওন বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য, জনকল্যাণ ও কর্মসংস্থান খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭.২ হাজার কোটি উওন বরাদ্ধ থাকছে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রশাসনের জন্য। শিক্ষা ও প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্ধ থাকছে যথাক্রমে ৫০.৭ ও ৩৫.৭ হাজার কোটি উওন।
অবকাঠামোগত উন্নয়নে ২৩.৭ হাজার কোটি উওন; কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য উৎপাদনে ১৮.৭ হাজার কোটি উওন এবং গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে দেয়া হয়েছে ১৭.৭ হাজার কোটি উওন। জননিরাপত্তায় প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৫.১ শতাংশ বাড়িয়ে বরাদ্ধ রাখা হয়েছে ১৫.৮ হাজার কোটি উওন। প্রস্তাবিত বরাদ্ধ ০.৯ শতাংশ কমিয়ে শিল্প কারখানা, এসএমই ও শক্তি উৎপাদনে রাখা হয়েছে ১৫.৪ হাজার কোটি উওন।
এছাড়া পরিবেশগত উন্নয়নে ৬.৫ হাজার কোটি উওন; সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন শিল্পে ৫.৪ হাজার কোটি উওন এবং বৈদেশিক নীতি ও উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে নতুন বছরের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪.২ হাজার কোটি উওন।
প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফে বেশ কিছু খাতে বরাদ্ধ কমানোর দাবী উপেক্ষা করে ‘পার্ক গুণ হে’ ব্র্যান্ডের বাজেটে প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুত প্রকল্পসমূহকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রস্তাবিত বাজেট প্রায় পুরোটাই কোনরকম কাঁটাছেড়া ব্যাতিরেকে অনুমোদন পেল। সে হিসেবে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে পার্কের প্রতিশ্রুত সৃজনশীল অর্থনীতি গড়ে তুলতে সহায়ক প্রকল্প এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক ঘোষিত ‘চারটি প্রধান সামাজিক ব্যাধি’ নির্মূলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট পার্ক সম্প্রতি খাদ্যে ভেজাল, পারিবারিক কলহ, শিক্ষার্থী নির্যাতন ও যৌন হয়রানিকে চারটি প্রধান সামাজিক ব্যাধি অভিহিত করে এসবের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন।