Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ আফ্রিকায় অমুসলিমদেরও মসজিদ দর্শনের সুযোগ

south-africa-mosjidদক্ষিণ আফ্রিকায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পালন হতে যাচ্ছে হেরিটেজ দিবস। এ উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকদের বৈচিত্র্যপূর্ণ উদযাপনের জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। উৎসবে ‘জাতীয় মসজিদ উন্মুক্ত দিবস’ নামে একটি ইভেন্টও রাখা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে দেশজুড়ে নির্বাচিত মসজিদগুলি সেদিন সব ধর্মের দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন ড. ফয়সাল সোলাইমান বলেন, মসজিদ উন্মুক্ত দিবস প্রোগ্রামটি করার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকার সব ধর্মের লোকদের মুসলিমদের সঙ্গে মিশতে আহ্বান করা। পাশাপাশি মুসলিমদের আচার-আচরণ, সভ্যতা-রীতি তাদের কাছে তুলে ধরা।

chardike-ad

মসজিদ দর্শনে আগত দর্শনার্থীদের কাছে মুসলমানদের ইবাদতের রীতি-নীতি, ধর্মীয় সংস্কৃতি, ইসলামের স্বাধীনতা ও সৌন্দর্যের প্রাণবন্ত উপস্থাপন করা হবে এবং ইসলাম বিষয়ক প্রশ্ন-উত্তর পর্ব থাকবে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দর্শনার্থীদের জন্য রিজার্ভর পাহাড় মসজিদ, গ্রে স্ট্রিট জুমা মসজিদ, মুসাগারভের নামাজঘর এবং এস্কোর্ট ওয়েম্বি ইসলামিক প্রিসিং সেন্টার ইত্যাদি উন্মুক্ত থাকবে।

sentbe-adজুলু রাজা শাকার স্মৃতির স্মরণে শাকা ডে বা হেরিটেজ ডে উদযাপিত হয় । শাকা দক্ষিণ আফ্রিকার জুলুদের বহুধাবিভক্ত বংশগুলোকে একটি জাতিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিভিন্ন ধর্ম-ভাষা, জাতি-গোষ্ঠী ও সংস্কৃতির প্রায় ৫২ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে। সেখানে ইসলাম ক্রমবর্ধমান রয়েছে। সব বর্ণ-সংস্কৃতির মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছে। কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমানের সংখ্যা ছয়গুণ বেড়েছে আফ্রিকার ইউরোপ খ্যাত দেশটিতে। ১৯৯১ সালে তাদের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার। ২০০৪ সালে এসে এ সংখ্যা ৭৪ হাজার ৭০০-এ দাঁড়ায়।

আর ২০১১ সালের সর্বশেষ আদমশুমারি মোতাবেক (পিউ) ও সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকায় মুসলমানদের সংখ্যা এখন ১৫ লাখ। ২০২১ সালে প্রকাশিতব্য আদমশুমারির ফলাফলে মুসলমানদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কেপটাউনের বো-ক্যাপ এলাকায় ১৭৯৪ সালে নির্মিত আউয়াল মসজিদটিকে দেশের প্রথম মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।