Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভূমিকম্প ও সুনামিতে লণ্ডভণ্ড ইন্দোনেশিয়া, নিহত ৫০

indonesiaইন্দোনেশিয়ায় আঘাত হানা ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর পরে সৃষ্ট সুনামিতে প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহরের কাছে ধারাবাহিক ভূমিকম্প আঘাত হানে, এরমধ্যে সবচেয়ে বড়টি আঘাত হানে বিকেল ৫টা ২ মিনিটে যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৫। এর ফলে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পালুসহ দ্বীপের উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২ মিটার উচ্চতার সুনামি আঘাত হানে।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ অধিদফতরের মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আমাদের কাছে সাগ্রিক তথ্য নেই। সুনামির পর উপকূলে বেশ কিছু মরদেহ পাওয়া গেছে, কিন্তু এর সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, উপকূলবর্তী বিভিন্ন স্থাপনা সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে এবং স্থানীয়রা ভয়ে ছোটাছুটি করছে।

chardike-ad

indonesiaকর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার উদ্ধার অভিযান শুরু হলেও পালুর রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও যোগযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় তা উদ্ধার অভিযান করে তুলেছে। ঘটনাস্থল থেকে এক ফটোসাংবাদিকের বরাত দিয়ে বলা হয়, বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত হয়েছেন। কিন্তু তারা ভূমিকম্পে নাকি সুনামিতে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান জানান, পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। বিভিন্ন ভবন ধসে পড়েছে এবং মানুষ রাস্তায় ছোটাছুটি করছে। একটি জাহাজ ডাঙায় ভেসে এসেছে।

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ দেশ। গত জুলাই ও আগস্টে পালু শহর থেকে শত কিলোমিটার দূরের লমবোক দ্বীপে দফায় দফায় ভূমিকম্পে ৫০০ লোকের প্রাণহানি হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত দেশটিতে ২০০৪ সালে ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ইন্দোনেশিয়াসহ আশেপাশের কয়েকটি ভয়াবহ সুনামি আছড়ে পড়ে। এতে প্রায় দুইলাখেরও বেশি মানুষ নিহত হন যারমধ্যে প্রায় সোয়া লাখই ইন্দোনেশিয়ার।