Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দুই কোরিয়ার মিলনে একমাত্র বাধা যুক্তরাষ্ট্র

trump, moon jae in

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপের যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে পরিসমাপ্তির বিষয়টি এই মুহূর্তে শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। শুক্রবার রাজধানী সিউলে বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি।

chardike-ad

উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে শুরু হওয়া কোরীয়যুদ্ধ ১৯৫৩ সাল থেকে অস্ত্রবিরতি চুক্তির আওতায় থাকলেও শান্তিচুক্তি এখনও ঝুলন্ত অবস্থায় রয়ে গেছে। কিন্তু মুনের এ ঐতিহাসিক পদক্ষেপে মাঝপথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। দুদিন আগে দেয়া এক বিবৃতিতে এই পূর্বাভাসই দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দীর্ঘদিনের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এক কথা, মার্কিন সনদ ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়। অর্থাৎ দুই কোরিয়ার শক্তিতে একমাত্র বাধা এখন ট্রাম্প। কিন্তু কেন এই বিরোধিতা? সে সম্পর্কে মুখ খোলেননি।

উত্তর কোরীয় শরণার্থী পিতার ছেলে মুন বলেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষনেতা কিম জং উনকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিষয়টি আরও অনেক বেশি কূটনৈতিকভাবে সম্পাদিত হওয়া জরুরি বলেই মনে করেন তিনি। এ সময় কিমকে অত্যন্ত ‘স্পষ্টভাষী’ বলে অভিহিত করেন মুন।

মুন বলেন, তিনি আশা করেন ইউরোপীয় নেতারাও কিম ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যস্থতায় তাকে সহায়তা করবে। প্রসঙ্গত, মুন এ বছরের মধ্যেই তিনবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

তিনি বলেন, যদি সত্যিই উত্তর কোরিয়া কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তবে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা একটি রাজনৈতিক বিবৃতি হিসেবে ঘোষিত হবে। যার মাধ্যমে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের বিরোধের নিষ্পত্তি হবে। আর আমি মনে করি, সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়।’

বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জাহাজডুবির ঘটনায় পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সিউল। নিষেধাজ্ঞার আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে উত্তর কোরিয়ার কোনো জাহাজ প্রবেশ করতে পারবে না। পাশাপাশি পর্যটন, বাণিজ্য এবং মানবিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়।

বুধবার উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্পর্কে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করার জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা আমাদের অনুমোদন ছাড়া এ কাজ করবে না। তারা আমাদের অনুমোদন ছাড়া কিছুই করতে পারবে না।