নতুন বিলিয়নিয়র বা শতকোটিপতি তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে গেছে চীন। দেশটিতে প্রতি দুই দিনে একজন করে শতকোটিপতি তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক খবরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং কোম্পানি ইউবিএসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার ‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক মাল্টিন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কোম্পানি ‘ক্রেডিট সুইস’-এর রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
‘গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট’ অনুসারে, সারা বিশ্বে দেশীয় সম্পদের বিকাশে প্রাপ্তবয়স্কদের গড় অবদানের ভিত্তিতে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময় দেশটির সম্পদের বিকাশে প্রাপ্তবয়স্কদের অবদান ৫.৫ শতাংশ হারে বেড়ে দাঁড়ায় তিন লাখ ৯১ হাজার ৬৯০ ডলার। এ দিকে ৬.৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার মাধ্যমে বৈশ্বিক সম্পদ বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন মিলিয়নার তৈরির ক্ষেত্রেও শীর্ষে অবস্থান করছে দেশটি।
রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র গত ১০ বছর ধরে দেশীয় সম্পদের বিকাশে শীর্ষে আছে। কিন্তু দ্রুতই তার কাছাকাছি চলে আসবে চীন। আগামী পাঁচ বছরে সারা বিশ্বে মিলিয়নারদের সংখ্যার তালিকায় শীর্ষ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের তিন গুণ বেশি মিলিয়নার তৈরি করবে চীন। এতে বলা হয়, এই শতকে চীনের মোট সম্পদ বেড়েছে এক হাজার ৩০০ শতাংশ হারে, যার পরিমাণ ৫১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় এটি দ্বিগুণ। এই শতকে চীনের অর্থনীতি এত দ্রুত এগিয়েছে যে আগামী প্রজন্মের মধ্যেই দেশটির সম্পদের বৈষম্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।