Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

New-yorkযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ডাকাত ধরতে গিয়ে গুলি খেলেন বাংলাদেশি যুবক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ (৩০)। স্থানীয় সময় গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত এস্টোরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের সব গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।

নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, এস্টোরিয়া এলাকায় বাংলাদেশের সিলেটের ফারুক আহমেদের মালিকানাধীন বনফুল সুপার মার্কেটে (মুদি দোকান) ডাকাতি করে তিন দুর্বৃত্ত। ওই মার্কেট ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, মুখোশধারী এক ব্যক্তি দোকানে ঢুকে পুলিশের ‘ব্যাজ’ দেখিয়ে হুমকি দিয়ে বলে, যা আছে সবকিছু দিয়ে দে। একপর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা আরেক দুর্বৃত্ত দোকানের এক কর্মচারীকে জিম্মি করে ক্যাশবাপ থেকে নগদ দুই হাজার ডলার লুটে নেয়। দোকানের আরেক কর্মচারী আব্দুল কুদ্দুস ছিলেন দোকানের আরেকটু ভেতরে।

chardike-ad

কুদ্দুস পুলিশকে জানান, অর্থ লুটে নেওয়ার সময়ই বুঝতে পেরেছিলাম তারা ডাকাত। পিস্তল দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। সে সময় মোহাম্মদ রাসেল আহমেদও ছিলেন দোকানের ভেতরে। তিনি সেখানে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে স্বজনের কাছে টাকা পাঠানোর জন্য। ফারুক আহমেদ রাসেলের ভগ্নিপতি। ডাকাতরা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় রাসেল তাদের ধরতে ধাওয়া করেন। বেশ কিছুদূর তাদের পিছু নেন। একপর্যায়ে ডাকাতরা তাকে তাক করে পিস্তলের গুলি ছুড়লে তা তার পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর মুখোশধারী তিন ডাকাত একটি মিনিভ্যানে উঠে পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ডাকাতদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। রাসেলকে ভর্তি করা হয়েছে এলমহার্স্ট হাসপাতালে। তার পায়ের গুলি অপসারণে অস্ত্রোপচার করা লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

দোকান মালিক ফারুক আহমেদ বলেন, আশা করি ডাকাতরা ধরা পড়বে। রাসেলের ভাবী শাহানা বেগম বলেন, রাসেল অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে ডাকাতদের ধরতে চেয়েছিল। তবে সে বুঝতে পারেনি, ডাকাতরা তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করতে পারে।

রাসেলের আরেক আত্মীয় শিব্বির আহমেদ বলেন, রাসেল কুইন্সের জ্যামাইকায় বসবাস করতেন, চাকরি করতেন রেস্টুরেন্টে। সাত মাসে আগে সেখান থেকে সস্ত্রীক এস্টোরিয়ায় আসেন তিনি।