Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের বিভক্ত রায়

khaleda-ziaতিন আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ রিটের শুনানি হয় সোমবার। রিটের শুনানি শেষে আদেশের দিন ঠিক ছিল আজ মঙ্গলবার। আজ খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে বিভক্ত রায় দিয়েছেন আদালত। বগুড়া ৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ এই তিন আসনে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি।

রায়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বৈধ বলে আদেশ দিয়েছেন। তবে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. ইকবাল কবির প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন। হাইকোর্টের রায়ের ফলে বেগম খালেদা জিয়ার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়াই পথ থাকছে কিনা এখনো বলা যাচ্ছে না।

chardike-ad

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, বেঞ্চের প্রিজাইডিং জজ খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অপর বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেছেন। এখন নিয়ম অনুসারে আবেদনগুলো প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য অন্য বিচারপতির কাছে পাঠাবেন। আমার আশাবাদী বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

‘নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হয়ে গেছে এবং প্রচারণা শুরু হয়েছে, খালেদা জিয়ার পরে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকবে কিনা’ সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে এ আইনজীবী আরও বলেন, আদালত খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বহাল রাখলে নির্বাচন কমিশন তাকে সুযোগ দিতে বাধ্য। বিএনপির চেয়ারপারসন বিজয়ীও হবেন।

খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গত ২ ডিসেম্বর তার সবকটি মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনের আপিল এজলাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন কমিশনার খালেদার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। তবে কমিশনার মাহবুব তালুকদার খালেদার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা দেন। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রোববার হাইকোর্টে রিট করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সোমবার শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিভক্ত রায় দেন আদালত।