Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নরেন্দ্র মোদিকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করলেন মমতা

Mamata-Modi
ফাইল ছবি

এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে কলকাতায় বিজেপির বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শনিবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কলকাতার বিগ্রেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজেপিবিরোধী দলগুলোর এক বিশাল সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মোদি সরকারের এক্সপায়ারি ডেট পার হয়ে গেছে। এ রকম হিটলার ভারতবর্ষে আগে দেখিনি। ৭০ বছরে পাকিস্তান যা করতে পারেনি, চার বছরে মোদি সরকার তাই করেছে।’

তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘দাম বাড়ছে, বিজেপি হাসছে। বাজার আগুন, জাগুন বাংলা জাগুন। ব্যাংকে ধস, ইকোনমিতে ধস। কিছুতেই এ জিনিস চলতে পারে না। রাফালসহ একাধিক দুর্নীতি হয়েছে এই সরকারের আমলে। সততা দেখাচ্ছে। একবার সরকার পড়ুক, বুঝতে পারবেন। আপনারা রাজনীতির সৌজন্যতা রাখেননি। লালুজি, অখিলেশ, মায়াবতী কাউকে ছাড়েননি। আমাকেও ছাড়েননি। আপনাকেও কেউ ছাড়বে না।’

chardike-ad

মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েও তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পে টাকা দিচ্ছি আমরা। ছবি দিচ্ছে বিজেপির। এটা কেন হবে? ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন— ক্ষমতায় এলেই প্রতি বছর ২ কোটি বেকার যুবককে চাকরি দেওয়া হবে। চাকরি দিয়েছেন কোথায়? বছরে ২ কোটি বেকার হয়েছে। নোট বাতিল করেছেন। জিএসটি এনেছেন। মানুষ সমস্যায় পড়েছে। চাকরি গেছে। আপনি চাকরিই দিতে পারছেন না, সংরক্ষণ কী দেবেন? এদিকে আমরা ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছি।’

বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট সরকার দরকার— এমন মন্তব্য করে মমতা বলেন, ‘দেশের প্রয়োজনে মহাজোট দরকার। প্রধানমন্ত্রী কে হবে ভাবার দরকার নেই। নির্বাচনের পর সবাই মিলে ঠিক করবো। আমাদের এখানে সবাই নেতা, সবাই কর্মী, সবাই সংগঠক। মনে রাখবেন, আমরা সবাই রাজা।’

শনিবারের সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহা, অরুণ শৌরির মতো নেতারাও। তারাও পরিবর্তনের ডাক দেন। এদিন মঞ্চে উপস্থিত থেকে বিজেপিবিরোধী মহাজোট গড়ার আহ্বান জানান অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগুদেশমের নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিএস নেতা কুমার স্বামী, হার্দিক প্যাটেল, জিগনেশ মেওয়ানি, অরুণাচলের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, আরএলডি নেতা জয়ন্ত সিংহ, কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, বিএসপির সতীশ মিশ্রা, ডিএমকে নেতা এমকে স্টালিন, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি প্রমুখ।