Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘অঘোষিত ফাইনালে’ পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

pakবোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। বাকি অর্ধেক কাজ করলেন ব্যাটসম্যানরা। কেপটাউনে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে থাকার কথা ছিল ফাইনালের আমেজ। কিন্তু ঘরের মাঠের দক্ষিণ আফ্রিকা সে সুযোগটা দিল না। পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

কেপটাউনে কুইন্টন ডি ককের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর ফাফ ডু প্লেসিস আর ফন ডার ডাসেনের হার না মানা দুই হাফসেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেট আর ৬০ বল হাতে রেখেই হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

chardike-ad

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বেশ দেখেশুনেই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। একটা সময় ২ উইকেটে তাদের রান ছিল ১০৮। ইনিংসের তখন মাত্র ২১তম ওভার চলে। চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ারই ইঙ্গিত ছিল পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে। কিন্তু সেখান থেকে ২০০ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে আনপ্রেডিক্টেবলরা।

পাকিস্তানের মূল বিপদটা হয়েছে সেট ব্যাটসম্যান ফাখর জামান আউট হবার পরই। ৭৩ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৭০ রান করে ফাখর যখন সাজঘরে ফেরেন, ২৫তম ওভারে পাকিস্তানের রান তখন ৪ উইকেটে ১২৮।

এরপর প্রতিরোধ গড়তে যাওয়া শোয়েব মালিকও ৩১ রানে রানআউটে কাটা পড়েন। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল লড়াকু পুঁজিও পাবে না সফরকারিরা। শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিমের ৩১ বলে ৪৭ রানের ঝড়ে ২৪০ পর্যন্ত যেতে পেরেছে তারা। ইমাদের ইনিংসটি ছিল ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় সাজানো। দক্ষিণ আফ্রিকার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস আর আন্দেলো ফেহলুখায়ো নেন ২টি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে হাশিম আমলাকে (১৪) অল্প রানে হারালেও জয় পেতে কষ্ট হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক খেলেন ৫৮ বলে ৮৩ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস, যে ইনিংসে ছিল ১১টি চার আর ৩টি ছক্কা।

এরপর হেনড্রিকস ৩৩ বলে ৩৪ রান করে আউট হন। তবে পরের সময়টায় দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি ডু প্লেসিস- ফন ডাসেন। ৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। ডু প্লেসিস ৭২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেন ৫০ রান। ডাসেন ৬১ বলে করেন সমান ৫০, তার ইনিংসে কোনো বাউন্ডারি ছিল না, ছক্কা ছিল ৩টি।