Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় সার্টিফিকেট জালিয়াতি দায়ে বাংলাদেশীদের ধরপাকড়

দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট নকল করে জমা দেওয়ার অপরাধে কয়েকজন বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সেদেশের ইমিগ্রেশন। তবে এই পর্যন্ত কতজনকে ফেরত পাঠিয়েছে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি সার্টিফিকেট নকল করে জমা দেওয়ার পর ইপিএসভিত্তিক একটি কমিউনিটির নেতাকে গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে। 

chardike-ad

দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত কর্মীদের স্কিল ভিসায় পরিবর্তন করতে গেলে নির্ধারিত পয়েন্ট সিস্টেমে আবেদন করতে হয়। পয়েন্ট সিস্টেমে স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী থাকলে ২০ পয়েন্ট পাওয়া যায়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পয়েন্ট সিস্টেমের সুযোগ কাজে লাগাতে অনেক বাংলাদেশী ভূয়া সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ভিসা পরিবর্তন করেছে। বিষয়টি কোরিয়ান ইমিগ্রেশনের নজরে আসার পর ভিসা পরিবর্তনকারীদের সার্টিফিকেট সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশে সংশ্লিষ্টদের নিকট পাঠানো হয়। সেখানে জানলিয়াতির বিষয়টি বের হয়ে আসে। তারপর থেকে ধরপাকড় শুরু হয় এবং অনেককেই গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। 

ভুয়া সার্টিফিকেট বিষয়ে জানতে চাইলে সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মুকিমা বেগম জানান উনারা (যারা সার্টফিকেট জালিয়াতি করেছেন) বাংলাদেশের কোরিয়ান দূতাবাসের মাধ্যমে সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছেন। এখানে আমাদের কিছু করার নাই। এই কাজটি (জালিয়াতি) খুবই খারাপ কাজ হয়েছে। তাদের কারণে অন্য বাংলাদেশীরা সুবিধা বঞ্চিত হবে।   

কোরিয়ান সরকারের জনশক্তি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এইচআরডি কোরিয়া’র ঢাকা অফিসে কর্মরত মোহাম্মদ শামশুল আলম কয়েক দফায় ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ভূয়া সার্টিফিকেটের বিষয়ে সতর্ক করেন। গত ফেব্রুয়ারীর ১৮ তারিখ সর্বশেষ স্ট্যাটাসে লিখেছেন শুনতে ভাল না লাগলেও, অপ্রিয় হলেও প্রয়োজন মনে করলে বলে ফেলাই আমার অভ্যাস। ভুয়া সার্টিফিকেট বানিয়ে আমাদের ই-৯কর্মীদের ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন এবং কতিপয় লোকের ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী হিসেবে কোরিয়া গমন কোরিয়াতে বাংলাদেশকে যে ইমেজ সঙ্কটে ফেলছে বা ফেলবে তা যে কারোরই বুঝার কথা। ঘটনা ঘটে গেলে তার বহুমাত্রিক প্রভাব পড়ে, তাই ঘটনা যাতে না ঘটে সেটাই আমাদের কাম্য হওয়া উচিত। এই ধরণের ইমেজ সংকট সৃষ্টি প্রতিরোধকল্পেই যারা যারা এসব কাজ করেছে তাদেরকে সতর্ক করেছিলাম, এতে কে কি মনে করলো তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আশ্চর্যের ব্যপার হলো, এত কিছুর পরেও এখনও ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে আসে সত্যায়িত করে নেয়ার জন্য।